নিজস্ব প্রতিবেদক:
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) কাটছাঁট প্রক্রিয়ায় এবার সরকারের নিজস্ব তহবিলের (জিওবি) বরাদ্দ ঠিক রাখা হচ্ছে। তবে কমানো হচ্ছে বৈদেশিক সাহায্য। একই সঙ্গে সংস্থার নিজস্ব তহবিলের বরাদ্দও কমবে।
পরিকল্পনা কমিশনের সর্বশেষ বর্ধিত সভায় সংশোধিত এডিপির এই খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।
অপরদিকে বৈদেশিক সহায়তার আকার ধরা হয়েছিল ৫৭ হাজার কোটি টাকা। এখান থেকে ছেঁটে ফেলা হচ্ছে ৪ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। ফলে বরাদ্দ থাকবে ৫২ হাজার ৫০ কোটি টাকা।
এ ছাড়া স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মোট বরাদ্দ থেকে কমানো হবে ১ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ। আগে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ১০ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।
পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) তথ্য অনুসারে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে (জুলাই’২০১৭-জানুয়ারি’২০১৮) মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো ব্যয় করেছে ৫৪ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ এডিপি
বাস্তবায়নের হার ৩৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। যদিও এই চিত্র গত কয়েক বছরের চেয়ে ভাল। তারপরও কাটছাঁট করা হচ্ছে এডিপির বরাদ্দ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাচনের আগের বছর হওয়ায় চলতি অর্থবছরে কোনোভাবেই উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ হ্রাসের চিন্তা নেই। তবে বৈদেশিক অংশের অর্থ ব্যয় করা একটু কঠিন। এ অবস্থায় বৈদেশিক অংশে বরাদ্দ কমিয়ে জিওবির বরাদ্দ অক্ষুণ্ণ রাখা হচ্ছে।
সূত্রমতে খসড়া প্রতিবেদন ঠিক থাকলে এডিপির সংশোধিত আকার দাঁড়াবে ৯ হাজার ২১৩ কোটি টাকা। এতে মূল এডিপির ন্যায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাবে পরিবহন খাত। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবে বিদ্যুৎ খাত। তৃতীয় অবস্থানে পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী প্রতিষ্ঠান খাত। আর সবচেয়ে কম বরাদ্দ দেয়া হবে গণসংযোগ খাতে। অন্যদিকে বাড়বে প্রকল্পের সংখ্যা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন শিগগিরই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভায় সংশোধিত এডিপির খসড়া উপস্থাপন করা হবে এবং সেখানেই চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে অনুমোদন পেলে আগামী জুনের মধ্যেই এটি বাস্তবায়ন করা হবে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ