স্পোর্টস ডেস্ক:
শেষের ম্যাচটা জয় দিয়েই শেষ করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ৭৫ রানের বড় পরাজয়ে ‘শেষের ভালো’টা আর হলো না স্বাগতিকদের। ব্যাটিং-বোলিং কোনো ক্ষেত্রেই প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ এর জন্য দলের ক্রিকেটারদেরকেই দুষছেন। অবশ্য প্রথম ম্যাচে ব্যাটসম্যানরা ভালো কিছু করেছিলেন বড় সংগ্রহ গড়ে। সিলেটে এবার ব্যাটিংয়ে দেখা গেল চরম দুর্দশা। বাংলাদেশ দল খেলতে পারেনি নিজেদের পুরো ২০ ওভার। ১৩৫ রানেই গুটিয়ে যেতে হয়েছে আট বল আগেই।
ম্যাচশেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে মাহমুদউল্লাহ এসেছিলেন পরাজিত দলের অধিনায়ক হিসেবে। ৪১ রান করে দলের ইনিংসে সর্বোচ্চ সংগ্রহটাও তাঁরই। বাংলাদেশ দল যতক্ষণ বোলিং করছিল উইকেট দেখে মনে হচ্ছিল বোলারদের জন্য সিলেটের মাঠে নেই কিছুই। অথচ সেই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসটাতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যাদের খুবই লড়াই করতে হয়েছে। উইকেটে যে কোনো ‘জুজু’ ছিল না সেটা একবাক্যে মেনে নিয়েই বাংলাদেশ দলপতি মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ ছিল। যখন আমরা ব্যাট করছিলাম তখনো ভালো উইকেটই ছিল, মাঠে শিশিরও ছিল। লক্ষ্যমাত্রা অবশ্যই তাড়া করা যেত। আমাদের ভালো একটা শুরুর দরকার ছিল, কিন্তু একের পর এক উইকেট হারিয়েছি। টি-টোয়েন্টিতে ১৮০-১৯০ রান তাড়া করে জেতার মানসিকতা থাকতে হবে।’
প্রথম ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও বাংলাদেশি বোলাররা মন ভরাতে পারেনি দলনায়কের। এ ব্যাপারে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘বোলিং একেবারেই ভালো হয়নি আমাদের। স্পিনারদের জন্য কিছুই ছিল না উইকেটে। ওদের যদি ১৮০ রানের মধ্যে আটকে রাখা যেত। তাহলে ম্যাচটা জিততেও পারতাম। ফ্ল্যাট উইকেটে কীভাবে বল করতে হবে তা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।’ টেস্ট সিরিজ কিংবা প্রথম টি-টোয়েন্টি, সাকিব আল হাসানের অভাবটা বাংলাদেশকে ভুগিয়েছে খুব। টেস্টের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও সাকিবের বদলে নেতৃত্বের আর্মব্যান্ডটা চেপেছে মাহমুদউল্লাহর হাতে। সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক আবারও জানালেন সাকিবের অভাব অপূরণীয়, ‘সাকিব আমাদের সেরা খেলোয়াড়। ওর অভাব ভীষণ ভুগিয়েছে আমাদের।’
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি