স্পোর্টস ডেস্ক:
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সবগুলো ম্যাচ হেরে গেল বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের শেষটা যতটা খারাপ হয়েছিল, এ বছরের প্রথমে ত্রিদেশীয় সিরিজে টানা তিন ম্যাচ জিতে শুরুটা ততটাই ভাল করেছিল দলটি। এরপরেই পুরনো সেই হারের বৃত্তে আবার টাইগাররা। ত্রিদেশীয় সিরিজ হারের পর টেস্ট সিরিজেও তারা হেরেছে শ্রীলঙ্কার কাছে। এরপর ভাল ব্যাট করে প্রথম টি-টুয়েন্টি ম্যাচেও হার। দুই ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের জন্য রোববার শেষ ম্যাচটি জিতে এই সিরিজ হারের লজ্জা থেকে বাঁচার সুযোগ রয়েছে। আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে প্রায় ১২ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে টাইগারদের পক্ষে শেষপর্যন্ত কি ফিরে আসা সম্ভব?
আবার বলার কারণ, গতবছর শ্রীলঙ্কার মাটিতে দুই ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ হেরে পিছিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে লঙ্কানদের সামনে ১৭৭ রানের লক্ষ্য রেখে সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমানের বোলিং নৈপুণ্যে ৪৫ রানে ম্যাচটি জিতে নিয়েছিল বাংলাদেশ। ফলে ওয়ানডে ও টেস্টের পর টি-টুয়েন্টি সিরিজ ড্র করে শ্রীলঙ্কার মাটি থেকে অপরাজিত থেকেই ফিরেছিল টাইগাররা।
তবে পিছিয়ে গিয়ে ফিরে আসার দৃষ্টান্ত আরো একটি আছে বাংলাদেশের। বাকি তিন সিরিজেই এগিয়ে গিয়েও ড্র করতে হয়েছে টাইগারদের। বাংলাদেশ প্রথম টি-টুয়েন্টি সিরিজ ড্র করেছিল ২০১২ সালে, নেদারল্যান্ডসের সাথে। দেশটির মাটিতে সেবার প্রথম ম্যাচে ৮ উইকেটে জয়ের পর দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে ১ উইকেটে হেরেছিল টাইগাররা। শেষ বলে চার মেরে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে নেয় ডাচরা। দুই ম্যাচে ফিফটি করেও সিরিজ জয় থেকে বঞ্চিত হন তামিম ইকবাল।
২০১৩ সালে জিম্বাবুয়েতে দুই ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। শামসুর রহমান ও সাকিবের ফিফটির পরও প্রথম ম্যাচটি ৬ রানে জেতে জিম্বাবুয়ে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ফিরে আসে টাইগাররা। সাকিবের বোলিং নৈপুণ্যে ম্যাচটি ৩৪ রানে জিতে নেয় তারা।
এরপরের সিরিজ ড্রয়ের ঘটনা ২০১৫ সালে, ঢাকায়। এবারও প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে তাদের ৪ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে পরের ম্যাচটি ৩ উইকেটে জিতে সিরিজ ড্র করে জিম্বাবুয়ে।
২০১৫ সালে খুলনায় চার ম্যাচের টি-টুয়েন্টির সিরিজে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। সে সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে সাব্বির রহমান দারুণ পারফর্ম করেছিলেন। তার ব্যাট ও বলে ভর করেই প্রথম দু’টি ম্যাচ যথাক্রমে ৪ উইকেট ও ৪২ রানে জেতে টাইগাররা। তবে শেষ দু’টি ম্যাচ ৩১ ও ১৮ রানে জিতে বাংলাদেশকে সিরিজ জয়ের আনন্দ থেকে বঞ্চিত করে জিম্বাবুয়ে।
টি-টুয়েন্টি সিরিজে প্রথমে হেরে বাংলাদেশের দু’বারই ফিরে আসার ঘটনা ঘটেছে দেশের বাইরের মাটিতে। এবার ঘরের মাঠ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যদের বিপক্ষে কি ফিরে আসতে পারবেন না টাইগাররা?
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ