নিজস্ব প্রতিবেদক:
খালেদা জিয়ার রায়ের অনুলিপি দিতে দেরি করা পরিকল্পিত বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার সন্ধ্যায় দলের গুলশান কার্যালয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন এবং রায়ের অনুলিপি দেয়া নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ধূম্রজাল সৃষ্টি করা হয়েছে। বৈঠকে আমরা এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছি। বেআইনিভাবে তার রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি দেয়া হচ্ছে না, এটা সম্পূর্ণ আইনের লঙ্ঘন। আইনে রয়েছে পাঁচ দিনের মধ্যে সত্যায়িত অনুলিপি দেয়ার কথা। কিন্তু আট দিন হলেও সেটা এখনও দেয়া হয়নি। সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আইনকে হাতে নিয়ে বেআইনি কাজ করছে।’ এ সময় খালেদা জিয়ার মুক্তিকে বিলম্বিত করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে দেয়াই সরকারের প্রচেষ্টা। কিন্তু জনগণ তাদের আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এর জবাব দেবে।’
আইনজীবীদের সঙ্গে পৌনে এক ঘণ্টার বৈঠকের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয় আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনজীবীরা সমর্থন দিয়েছেন। তারা বলেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে সামগ্রিকভাবে অংশগ্রহণ করবেন। আর আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই তাকে মুক্ত করা হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘রায়ের অনুলিপি দিতে দেরি করার এখনও কোনও যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা আমাদের দেয়া হয়নি। রায়ের দিনই আমরা সত্যায়িত অনুলিপি চেয়েছিলাম। কিন্তু দেয়নি। হাইকোর্টে বিধান আছে, একটি সত্যায়িত কপি দ্বারা আপিল ফাইল করা যায়। কিন্তু আজ পর্যন্ত সত্যায়িত কপিটিও তারা দেয়নি।’
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন,ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ড.আব্দুল মঈন খান,নজরুল ইসলাম খান,আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড.খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নাল আবেদীন, মীর নাছির, নিতাই রায় চৌধুরী,যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন, অ্যাড.সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর