নিজস্ব প্রতিবেদক:
সারা দেশে কৃষকের গোলা এখন ধান-চালে ভর্তি। স্বাভাবিকভাবেই নতুন ধান ওঠায় এ সময় দেশের চালের বাজারদর কম থাকার কথা। বাস্তবে ঘটেছে উল্টো। রাজধানীর পাইকারি বাজারে গত সপ্তাহের শুরুতে চালের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। সাধারণ মানুষকে এখন কেজিপ্রতি ২ থেকে ৩ টাকা বাড়তি দিয়ে চাল কিনতে হচ্ছে। কষ্টের এখানেই শেষ হয়। ভোজ্যতেল ও রসুনের দামও বেড়েছে।
রাজধানীর বাজারে এখন ভারতীয় মোটা চাল কেজিপ্রতি ৪৪ ও দেশি মোটা চাল ৪৫-৪৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি মানের ভারতীয় চালের দর কেজিপ্রতি ৪৬-৪৮ টাকা। আর দেশি মাঝারি মানের চালের কেজি ৫২-৫৪ টাকা। বিক্রেতারা দেশি সরু মিনিকেট চালের কেজিপ্রতি দর মানভেদে ৬০-৬৩ টাকা ও ভারতীয় মিনিকেট ৫৮ টাকা দরে বিক্রি করছেন।
পশ্চিম আগারগাঁও কাঁচাবাজারের মুদি দোকানি জামাল হোসেন বলেন, ভারতীয় মোটা চাল কেনা পড়ছে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা দরে। এর সঙ্গে পরিবহন ও অন্যান্য খরচ যোগ করে ৪৪ টাকার কমে বিক্রি করা যায় না। তিনি বলেন, কয়েক দিনে সব ধরনের চালের দামই বেড়েছে।
ওই ব্যবসায়ী আরও জানান, গেল সপ্তাহে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দামও লিটারে ২ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া রসুনের দর বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। তার দোকানে প্রতি কেজি চীনা রসুন ১০০ ও দেশি রসুন ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।
বোতলজাত সয়াবিন তেলে খুচরা ব্যবসায়ীদের জন্য কোম্পানিগুলোর যে ছাড় ছিল, তা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানান কারওয়ান বাজারের বিক্রেতারা। একটি কোম্পানি প্রতি পাঁচ লিটারের বোতলের ১২টি কিনলে একটি এক লিটার তেল বিনা মূল্যে দিত। তাও দিচ্ছে না। সব মিলিয়ে প্রতি লিটার তেলে এখন বাড়তি ২ টাকা দিতে হচ্ছে খুচরা ব্যবসায়ীদের। অবশ্য মোড়কের লেখা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বাড়ায়নি কোম্পানিগুলো।
একটি ব্র্যান্ডের তেলের পাঁচ লিটারের বোতলের মোড়কে লেখা সর্বোচ্চ দর ৫৪০ টাকা, যা এত দিন ৫২০ টাকায় বিক্রি করতেন কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা। এখন ৫৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা তেলের দামও প্রতি লিটার ১ থেকে ২ টাকা বেড়েছে। ওই বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ৮২ টাকা, পাম সুপার ৭৮ টাকা ও পাম তেল ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী আবু হাসান বলেন, সরবরাহ কম থাকায় সয়াবিন তেলের দাম মণপ্রতি (৩৭ দশমিক ৩২ কেজি) ৫০ টাকার মতো বেড়েছিল, এখন তা আবার কমছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ