নিজস্ব প্রতিবেদক:
একবিংশ সালের খাদ্য চাহিদা ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে গবেষণা পরিচালনা করতে কৃষি ও ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম সমাবর্তনে নতুন গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা পুনর্গঠনে তোমাদের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়টির চ্যান্সেলর বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত বাংলাদেশ ভিশন-২০২১ ও ২০৪১-এর আলোকে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিপুল অবদান রাখছে— যা এখন বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন ও অগ্রগতির উদাহরণে পরিণত হয়েছে।
তিনি দেশের কৃষি খাতের ব্যাপক উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষিপণ্য উৎপাদন ও উদ্ভাবনের জন্য বর্তমান সরকার, বিশেষজ্ঞ, গবেষক, কৃষিবিদ ও কৃষকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রশংসা করেন। তিনি কৃষকদের কৃষিপণ্যে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বায়ন ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির এ যুগে একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে অবশ্যই তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে এবং প্রাতিষ্ঠানিক প্রাসঙ্গিকতা, গুণগত ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বৈচিত্র্যময় সিলেট অঞ্চলে টেকসই কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, এখানে রয়েছে অনেক জলাধার, উর্বর জমি ও মাছ। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এখানে ব্যাপক গবেষণার সুযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়টির অব্যাহত সাফল্য ও অগ্রগতি কামনা করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তৃতা দেন। এ ছাড়া শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এম গোলাম শাহী আলম অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
এর আগে দুপুর ২টায় সিলেটে পৌঁছে রাষ্ট্রপতি হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহপরান (রহ.)-এর মাজার জেয়ারত করেন।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর