কুমিল্লা প্রতিনিধি:
প্রশ্ন ফাঁসকারী সিন্ডিকেট চক্রকে ধরতে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসন এবার অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শে এক সরকারি কর্মকর্তা নিজে ছাত্র সেজে সিন্ডিকেট চক্রের এক সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
জানা যায়, চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে একটি চক্র প্রশ্নপত্র ফাঁস করে বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করে আসছে এমন একটি খবর উপজেলা প্রশাসনের কাছে ছিল। প্রশ্ন ফাঁসকারিদের ধরতে উপজেলা প্রশাসন বেশ তৎপর ছিল। গতকাল মঙ্গলবার পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষা আরম্ভ হওয়ার আধাঘণ্টা পূর্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিতু মরিয়ম জানতে পারেন একটি চক্র প্রশ্ন ফাঁস করে বিক্রি করছে। তাৎক্ষণিক তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রায়হান মেহবুবকে ছাত্র সাজিয়ে উপজেলার রামচন্দ্রপুর রামকান্ত স্কুলের পরীক্ষা কেন্দ্রের আশে-পাশে পাঠিয়ে নিজেও আসেন।
আরও জানা যায়, ওই স্কুলের শহীদ মিনারের মাঠে গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উভয়ই ঘটনাস্থলে এসে হাতে-নাতে দুটি স্যামসাং মোবাইল সহ খাইরুল ইসলাম (২১) নামে প্রশ্ন ফাঁসকারী সিন্ডিকেটের এক সদস্যকে আটক করে। পরে বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। এ সময় তাদের সহায়তা করেন বাঙ্গরা বাজার থানার এসআই রিদওয়ানুল হক। আটককৃত খাইরুল ইসলাম উপজেলার কামাল্লা ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের তরিকুল ইসলামের ছেলে। সে এ বছর কুমিল্লা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট হতে সিভিল বিষয়ে ডিপ্লোমা পাশ করেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিতু মরিয়ম বলেন, আটককৃত খাইরুলের জব্দ করা মোবাইলে প্রশ্ন ফাঁসকারী অনেকের ফোন নম্বর ও ছবি রয়েছে। অপরাধ স্বীকার করায় তাকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি