দৈনিক দেশজনতা ডেস্ক:
বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে জনসংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ও খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে পরিবেশের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তাই দুর্যোগ মোকাবিলায় সহযোগিতা করতে বিশ্ব নেতাদের এগিয়ে আসতে হবে।
জাতিসংঘের কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (আইএফএডি) গভর্নিং কাউন্সিলের ৪১তম অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনগণের স্বার্থে কৃষি খাতে ভর্তুকি দিয়ে খাদ্য উৎপাদনে বিশেষ ভূমিকা রাখছে বাংলাদেশ। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কৃষি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়। কিন্ত দুঃখের বিষয় ১৯৭৫ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজবুর রহমানকে হত্যার পর থেকে কৃষিসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটে।
অনুষ্ঠানে জাতি সংঘের সাধারন সম্পাদক আন্তোনিও গুয়েটারস ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়ে ৪১তম গভনিং কাউন্সিলের সফলতা কামনা করেন।
এরপর আইএফডির (ইফাদ) প্রেসিডেন্ট গিলবার্ট এফ হংবো প্রধানমন্ত্রীকে তার প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করতে আহবান করেন।
শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে আরও বলেন, দুর্যোগে ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা তৈরি করতে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ অন্যতম প্রধান বিষয়। আমরা বিশ্বাস করি বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা ছাড়া এটা অর্জন করা সম্ভব নয়।
এছাড়াও তিনি তার বক্তব্যে বাংলাদেশের অন্যান্য উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডগুলো তুলে ধরেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অর্থমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার রোমে স্থানীয় সময় সকাল দশটায় ইফাত সন্মেলন স্থলে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর প্রায় ৪০ মিনিট বক্তব্য দেন তিনি। এতে তিনি গ্রামীণ অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত আর্থিক সংস্থা হিসেবে ১৯৭৭ সালে আইএফএডি প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলত কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে গ্রামীণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়নে কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি।
আইএফএডির প্রেসিডেন্ট গিলবার্ট এফ হংবো ও পোপ ফ্রান্সিসের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর চার দিনের সরকারি সফরের তৃতীয় দিন ১৩ ফেব্রুয়ারি ইফাদের সম্মেলনে যোগ দেন।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ