অর্থনৈতিক প্রতিবেদক:
আমদানি-রফতানির সময় দেশের অর্থপাচার ঠেকাতে নতুন কৌশল নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এলক্ষ্যে দেশের সব শুল্ক স্টেশানকে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন কৌশলে কাজ করারর নিদের্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তিনি বলেন, মূলত অর্থপাচার ঠেকাতে তথ্য পাওয়া নিয়ে কিছুটা সমস্যা ছিল। এ সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা সরকারের অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছি। বিশেষ করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-বিআইএফইউ তথ্য দিয়ে সহায়তা করবে বলে আশ্বস্ত করেছে। সুতরাং সঠিক তথ্য পেলে সহজেই আমরা অর্থপাচার ঠেকাতে কাজ করতে পারব।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আমদানি-রফতানি খাতে অর্থপাচার ঠেকাতে যেসব প্রতিষ্ঠান বছরে দুইবারের বেশি আমদানি বা রফতানি করেছে তাদের মালিকদের ব্যাংক লেনদেনের তথ্যের সঙ্গে আয়কর রিটার্নের তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে। প্রতি ছয় মাস পর পর এ তথ্য হালনাগাদ করা হবে। এ ক্ষেত্রে তথ্যে গরমিল পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ব্যবসায়িক সব হিসাব জব্দ করা হবে। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবশ্যই ফৌজদারি মামলা করা হবে।
এছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান যদি ছয় মাসের মধ্যে ন্যূনতম তিনটি চালানে পণ্য আমদানি-রফতানি করে এবং প্রতিটি চালানের পরিমাণ ৫০ লাখ টাকার বেশি হলে, অবশ্যই প্রতিষ্ঠানের একজন প্রতিনিধি সংশ্লিষ্ট বন্দরে উপস্থিত হয়ে পণ্য ছাড় করাতে হবে।
পণ্য ছাড়করণে শুল্ক কর্তৃপক্ষের বিশেষ টাস্কফোর্স আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের কারখানা বা মূল দফতর সরেজমিনে পরিদর্শন করে সত্যতা নিশ্চিত করবে।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর