কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
চলমান এসএসসি পরীক্ষায় কুড়িগ্রামের রৌমারীতে নকলের সুযোগ না দেয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষেপে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে। শনিবার উপজেলার যাদুরচর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরীক্ষা শেষে বিক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীদের তা-বে যোগ দেয় বহিরাগতরাও। এ সময় দায়িত্বরত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) দেড় ঘণ্টা অবরুদ্ধ করেও রাখা হয়।
জানা গেছে, শনিবার পরীক্ষা শেষে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) দেড় ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় তারা ইউএনওর গাড়ি, শিক্ষকদের মোটরসাইকেল, সিসি ক্যামেরা, বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দেয়ালসহ দরজা-জানালা ও চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয়। এ সময় শিক্ষকেরা ইউএনওকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় এক পুলিশ সদস্যসহ ১০/১২ জন আহত হয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রৌমারীর ইউএনও দীপংকর রায় গণমাধ্যমকে বলেন, পরীক্ষা শুরুর দশ মিনিট পর আমি কেন্দ্রে উপস্থিত হই। পরীক্ষা শেষে বাচ্চারা মূলত হট্টগোল করে। এ সময় তারা আমার গাড়ি, শিক্ষকদের ১৩টি মোটরসাইকেলসহ স্কুলে লাগানো ১৫টি সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে। ভেঙে ফেলা হয় স্কুলের নিরাপত্তা দেয়াল ও কেন্দ্রের দরজা-জানালা। তাদের তাণ্ডবে স্থানীয়রাও অংশ নেয়। রৌমারী অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্কেল এএসপি সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার পর পরই পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব ভিডিও দেখে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করা হবে। এ ছাড়া তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি