নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরদ্ধে করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার ৬৩২ পৃষ্ঠার রায় কী করে ১০ দিনে লেখা সম্ভব হয় এমন প্রশ্ন তুলেছেন এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ। শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে কর্নেল অলি একটি অনুষ্ঠানে এমন প্রশ্ন তুলেন।
কর্নেল অলি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা পরিকল্পিত। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী রায়ের আগেই তার জন্য আগেই কারাগারে জায়গা ধোয়ামুছার কাজ হয়েছে। আর ৬৩২ পৃষ্ঠার রায় মাত্র ১০ দিনে কীকরে লেখা সম্ভব? যারা লুটপাট করেছে, তাদের খবর নেই, অথচ নিরপরাধ সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে কারাগারে নেয়া হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়ার বিষয়টি সরকারের পূর্ব পরিকল্পিত। তাকে যে কারাগারে রাখা হয়েছে, সেটি অপরিচ্ছ্ন্ন। বিএনপি নেত্রীকে কারাগারে পাঠানোর সব বন্দোবস্ত আগেই ঠিক করে রাখা হয়েছিল।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের প্রতিবাদে বিএনপি যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, তাতে সমর্থন করেন এলডিপি চেয়ারম্যান।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। এছাড়াও একই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা করে জরিমানা করেন আদালত।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ