অর্থনৈতিক প্রতিবেদক:
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, গত বছর সেপ্টেম্বর ভিত্তিক ত্রৈমাসিকে সমগ্র ব্যাংকিং সেক্টরে শ্রেণিকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ৮০ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা এবং এর বিপরীতে আদায়ের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ১১০ কোটি টাকা বা শতকরা ৩ দশমিক ৮৭ ভাগ।
আজ বৃহস্পতিবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য এম আবদুল লতিফের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ আদায় পরিস্থিতি উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সরকার খেলাপি গ্রাহক চিহ্নিতকরণ এবং তাদেরকে আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
মুহিত বলেন, খেলাপি ঋণসমূহের আদায়ের লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যেই অর্থ ঋণ আদালত আইন ২০০৩ প্রণয়ন করেছে। ওই আইনের আওতায় খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে খেলাপি গ্রাহকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এছাড়া ইতোপূর্বে প্রণয়নকৃত দেউলিয়া আইন ১৯৯৭ এর আওতায় খেলাপি গ্রাহকদের বিরুদ্ধে মামলা করার মাধ্যমে খেলাপি ঋণ আদায় করা হচ্ছে। খেলাপি ঋণ আদায়ের গুরুত্ব বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যেই ব্যাংকসমূহকে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেছে।
তিনি বলেন, প্রতি ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে শ্রেণিকৃত ঋণ স্থিতি, শ্রেণিকৃত ঋণের বিপরীতে আদায় পরিস্থিতি, ঋণ অবলোকন, প্রভিশন সংরক্ষণ ও নতুন ঋণ আদায় বিষয়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন ব্যাংকের বোর্ড সভায় উপস্থাপন করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, শ্রেণিকৃত ও অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ের দায়েরকৃত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে অভিজ্ঞ আইনজীবী নিয়োগ করতে হবে।
মুহিত বলেন, ‘বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তি’ (এডিআর)-এর মাধ্যমে শ্রেণিকৃত ঋণ আদায়ে পরিস্থিতির উন্নতির প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে এবং প্রয়োজনবোধে অর্থ ঋণ আদালতসহ সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলা দায়ের করে উপযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ দিতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার কর্তৃক প্রণীত বিভিন্ন আইনের পাশাপাশি উপর্যুক্ত নির্দেশনাসমূহও খেলাপি ঋণ আদায়ে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাসস
দৈনিক দেশজনতা /এন আর