নিজস্ব প্রতিবেদক:
বেলারুশের রাষ্ট্রদূত ভিটালি প্রিমার নেতৃত্বে সাত সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদল বুধবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে তার সচিবালয়ের অফিসে সাক্ষাৎ করেন। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন বেলারুশ দূতাবাসের তৃতীয় সচিব এ্যান্ড্রে মিসুয়ারা, অ্যামকোডর কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্যালারি ইভানকোভিচ, হেনাদজি মোসিসাও, আই এলডি প্রজেক্ট ইনচার্জ মারিয়া কুবরিক, বেলারুশের কনসুল অনিরুদ্ধ কুমার রায় এবং সহকারী সচিব স্যামুয়েল মুর্মু।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক, অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব হোসেন এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী বলেন, বেলারুশের টেকনিক্যাল সক্ষমতা ও অবকাঠামোগত খাতের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামোগত উন্নয়নে কাজে লাগবে। তিনি বলেন, ভারী শিল্প, নির্মাণ যন্ত্রপাতিসহ কারিগরি জ্ঞানের আদান-প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ উপকৃত হবে। তিনি বাংলাদেশে বিদ্যমান পাঁচ স্তরের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণকে প্রদেয় সেবাসমূহ সম্পর্কেও প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন।
মন্ত্রী পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে সক্ষমতা বাড়াতে ৪২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগে বাংলাদেশ ও বেলারুশ যৌথভাবে পরিচালিত অ্যামকোডর পলাশ শিল্পজোন, ট্রেড অ্যান্ড সার্ভিস সেন্টার থেকে ১১টি হুইল লোডার, ১১টি ব্যাকহো লোডার, ১১টি এসফল্ট লোডার, ৩২৯টি টুইন রোলার, ৩৩০টি স্কিড স্টেয়ার লোডারসহ মোট ৭০৩টি মেশিন ও যন্ত্রাংশ প্রদান করায় তাদের ধন্যবাদ জানান। মন্ত্রী বলেন, এসব যন্ত্রাংশ সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার আবর্জনা ব্যবস্থাপনা, ড্রেন নির্মাণ, মেরামত ও পরিষ্কার, রাস্তা নির্মাণ ও মেরামত কাজে গতি এনেছে।
রাষ্ট্রদূত ভিটালি প্রিমা বলেন, বেলারুশ সরকার পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি উপজেলা পরিষদ এবং জেলা পরিষদেও এ ধরনের যন্ত্র দিতে আগ্রহী। এজন্য বেলারুশ সরকার ১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও পরবর্তী সময়ে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
মন্ত্রী এই বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের যন্ত্রপাতি ক্রয়ের ব্যাপারে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এসময় তিনি এ ভারি যন্ত্রপাতিসমূহের যথাযথ ব্যবস্থাপনার জন্য সারাদেশে সার্ভিস সেন্টার স্থাপনের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ