নিজস্ব প্রতিবেদক:
আমার প্রথামিক বিদ্যালয় ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত। দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে বিনা বেতনে চাকরি করছি। যৌক্তিক দাবি নিয়েই আমরা টানা ১১ দিন ধরে প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় শীতের মধ্যে আছি। থাকতে কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু আমাদের দুঃখ-কষ্ট কেউ বোঝে না।’ এভাবেই মঙ্গলবার নিজের ক্ষোভের কথাগুলো বলছিলেন ২০১৩ সালে জাতীয়করণে বাদ পড়া দিনাজপুর নবাবগঞ্জের চকদেয়ানাত আধিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইউসুফ আলী।
তিনি বলেন, আমার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল কাগজপত্র যথাযথ প্রক্রিয়ায় সাবমিট করা হয়। কিন্তু অদৃশ্য কোনো কারণে আমাদের বিদ্যালয়টি বাদ পড়ে যায়। ইউসুফ আলীর মত জাতীয়করণের বাদ পড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ হাজার ১৬৯টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা গত ২১ জানুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন করছেন।
ওইদিন থেকে অবস্থান কর্মসূচি ও ২৭ জানুয়ারি থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন ওই সব শিক্ষকরা। আজকে মঙ্গলবার টানা ১১তম দিনের মত অনশন করছেন। অনশনের কারণে এ পর্যন্ত ২১৭ শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
জানা যায়, ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। কিন্তু ৪ হাজার ১৬৯টি প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়ে যায়। তখন বলা হয়, নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে না পারায় সরকার তাদেরকে জাতীয়করণ করেনি।
বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সালাহ উদ্দিন বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আজকের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তর থেকে প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে এবং আমাদের দাবির ব্যাপারে পজিটিভ সিদ্ধান্ত পাবো বলে আশা করছি।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ