নিজস্ব প্রতিবেদক:
শেয়ারবাজারের সঙ্গে ঋণ আমানত অনুপাতের (এডিআর) কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী। এটি শুধুমাত্র একটি মনস্তাত্ত্বিক বিষয়।
তাই এডিআর কমানোর সঙ্গে শেয়ারবাজারের পতনের কোনো সম্পর্ক নেই বলেও মন্তব্য করেন বিএমবিএয়ের এ নেতা। শেয়ারবাজারের স্টেকহোল্ডারদের শীর্ষ এ নেতা এমন অভিমত দিলেও, এডিআর কমানোর জের ধরেই কয়েকদিন শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হচ্ছে। আর রোববার এক প্রকার ধস নামে বাজারে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এডিআর ঋণ প্রদানের সঙ্গে জড়িত। আর আমানতের বিপরীতে ঋণ প্রদানের রেশিও কমানো হলে আমানতের জন্য সুদহার বাড়ে। তবে ঘোষিত মুদ্রানীতিতে ঋণ প্রদানের অনুপাত কমানো হলেও আমানতের বিপরীতে সুদহার এমন পর্যায়ে যাবে না, যা শেয়ারবাজারে নেতিবাচক ভূমিকা রাখবে। তাই এডিআর শেয়ারবাজারে নেতিবাচক ভূমিকা রাখবে না।
তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সীমা বাজার দরের পরিবর্তে ক্রয় দরে বিবেচনায় নেয়া উচিত। যখন বিনিয়োগের বাজার দর বেড়ে যায়, তখন বিনিয়োগ সীমা অতিক্রম করে। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর বিক্রয় চাপ বাড়ে। এমতাবস্থায় ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগকে ক্রয়মূল্যে বিবেচনায় নেয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি আহ্বান করেন তিনি।
আর এ বিষয়টি বিবেচনায় নেয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে লিখিতভাবে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন। এছাড়া বিনিয়োগ সীমা বিবেচনায় ব্যাংকগুলোর অধীনস্থ কোম্পানিকে (সমন্বিত) বিবেচনায় না নিয়ে, এককভাবে বিবেচনা করার আহ্বান করেন।
তিনি আরও বলেন, যেসব মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার মতো সক্ষমতা আছে, সেসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিনিয়োগ করার আহ্বান করা হবে। একইসঙ্গে শেয়ারবাজারের প্রসার বৃদ্ধিতে ব্রোকারেজ হাউসের শাখা খোলার তাগিদ দেন।
বর্তমানে বিনিয়োগ করার মতো পরিবেশ রয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএমবিএ সভাপতি। তাই বিক্রয় চাপ বাড়িয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি না করার জন্য সবাইকে আহ্বান করেন। একইসঙ্গে কোম্পানি মৌলভিত্তি দেখে যোগ্য দরে বিনিয়োগ করার আহ্বান করেন।
ডিবিএ’র সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেক বলেন, শেয়ারবাজারে গত কয়েকদিনের পতনের কারণ অনুসন্ধানে আজকে বিএমবিএ, ডিবিএ ও শীর্ষ বোকার হাউসের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে বৈঠকে শেয়ারবাজারে পতন হওয়ার মতো কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র আতঙ্কে বিক্রয় চাপ বৃদ্ধিতে এ পতন হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তবে অতীতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হলেও শেয়ারবাজারে তার কোনো প্রভাব ছিল না। আর ভবিষ্যতেও কোনো প্রভাব পড়বে না।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ