ভোলা প্রতিনিধি :
ভোলার তজুমদ্দিনের মেঘনায় এমভি তাশরিফ-৩ লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে ১ জেলে নিহত ও ৭ জেলে আহত হয়েছে। আহত চার জেলেকে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার ১০ ঘন্ট পর নিহত জেলের লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয় জেলেরা। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ঘটনা সুত্রে জানাগেছে, রবিবার ভোর ৫ টায় ঢাকা-টু-বেতুয়া রুটে তজুমদ্দিনের চাচড়া সংলগ্ন মেঘনায় ঘন কুয়াশার মধ্যে তাশরিফ-৩ লঞ্চ মাছ ধরারত জাহাঙ্গীর মাঝীর জেলে ট্রলারকে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেয়। এসময় পাশে থাকা তাহের মাঝী ডুবে যাওয়া সাত মাঝী-মাল্লাকে উদ্ধার করলেও সুমন (২৩) পিতা সফিউল্লাহ নিখোঁজ থাকে। ঘটনার ১০ ঘন্ট পরে বিকাল ৩ টার দিকে স্থানীয় জেলেরা নদী থেকে ভেঙ্গে যাওয়া ট্রলারসহ সুমনের লাশ উদ্ধার করে।
ট্রলারে থাকা আহত মালিক মোসলে উদ্দিন জানান, ঘন কুয়াশার মধ্যে আমরাও লঞ্চটি দেখতে পাইনি। হঠাৎ ট্রলারের উপর দিয়ে লঞ্চটি চালিয়ে দিয়ে ডুবিয়ে দেয়, পরে পার্শ্ববর্তী জেলেরা আমাদের ৭ জনকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আহত হয় জাহাঙ্গীর মাঝী (৩৮), মঞ্জুর (৪০), জাকির (৩০), মোসলেউদ্দিন (৩৫), ইউনুস (৩৫), মঞ্জু (৩০), বাসেত (৩২)। এদের মধ্যে প্রথম ৪ জনকে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে তাশরিফ-৩ লঞ্চের সুপার ভাইজার আলমঙ্গীর হোসেনের কাছে দুর্ঘটনার কারণ জানতে চাইলে বলেন, ভোর রাতে ঘন কুয়াশার কারণে নৌকাটি দেখা যায়নি।
তজুমদ্দিন-মনপুরা সার্কেল সিনিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার শামীম কুদ্দুছ ভূঁইয়া বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ