নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপির সংবাদ সম্মেলনকে ঘিরে নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের টেলিভিশনের ক্যামেরায় মুখ দেখানোর প্রতিযোগিতার চিত্র অনেক পুরোনো। পরিস্থিতি এমনও হয়েছে যে নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতির কারণে সিনিয়র নেতারা বসারও স্থান পেতেন না।
সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারে বসা নিয়ে হট্টোগোলের চিত্রও চিরচেনা। সিনিয়র নেতাদের বসার সুযোগ না দিয়ে তুলনামূলক জুনিয়র নেতাদের চেয়ার দখলের অসুস্থ প্রতিযোগিতায় রোষানলেও পড়তে হয়েছে অনেককে।
গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় প্রিজনভ্যান ভেঙে আটক তিন নেতাকে ছিনেয়ে নেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার পর থেকেই অনেকটা হার্ডলাইনে পুলিশ। ওই দিনের পর প্রতিদিনই বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে আটক করার সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। গত পাঁচ দিনে ঢাকাসহ সারদেশে প্রায় ৫ শতাধিক নেতাকর্মীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন রুহুল কবির রিজভী।
এদিকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে সংবাদ সম্মেলনকে ঘিরে নয়াপল্টনমমুখী নেতাকর্মীদের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। ক্যামেরার সামনে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে আগত এসব নেতাদের অনেকেই মোবাইলও বন্ধ করে রেখেছেন।
গত কয়েকদিন ধরে নয়াপল্টন কার্যালয়ের কর্মচারীরাই রিজভীকে সঙ্গ দিচ্ছেন। গ্রেফতার আতঙ্কে গত মঙ্গলবারের পর বেশ কয়েকদিন নয়াপল্টন থেকে বের হননি রিজভী।
ক্ষোভ প্রকাশ করে রিজভীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সেইভ জোন পলিটিক্স বিএনপিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। পুলিশের কঠোর অবস্থান সত্ত্বেও নয়াপল্টনে আগের মতো নেতাকর্মীদের উপস্থিতি থাকলে এ চিত্র দেখে অন্য নেতাকর্মীর মনোবল আরও বাড়ত।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

