২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১১:১৭

সেই বংশীবাদক রাজা আর নেই

বিনোদন ডেস্ক:

শরীরে রাজপোশাক, সাজসজ্জাও রাজার। যেন সাক্ষাৎ নবান সিরাজ-উদ দৌলা। হাতে লম্বা বাঁশি- তাতেই সুরের ঝড়। চার-ছক্কার সঙ্গে বাঁশির সুরে মাতোয়ারা শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম থেকে বইমেলা। বাংলাদেশের ক্রিকেট ও বইপ্রেমীদের চোখের সেই প্রিয় দৃশ্য আর দেখা যাবে না।

কারণ, সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন এই কৃতী বংশীবাদক রাজা মো. আলাউদ্দিন খাঁন। বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১২টার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

রাজা ঢাকার পল্লবীস্থ আদর্শনগরের বাসিন্দা ছিলেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার ঠোটাপাড়া গ্রামে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলেসহ গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। শুক্রবার বাদ জুমা পল্লবী এভিনিউ ৫ বটতলা বায়তুর রাহমত জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।

রাজা আলাউদ্দিন খাঁন দেশের অসংখ্য ক্রিকেট ও বইপ্রেমীদের বাংলা একাডেমি চত্বরে, ভাষা শহীদদের ভাস্কর্যের সামনে ও স্টেডিয়ামে ঘুরে ঘুরে আপন মনে বছরের পর বছর বাঁশি বাজিয়ে আনন্দ দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা ও প্রখ্যাত বংশীবাদক মো. আলাউদ্দিন খাঁন বিশেষ দিনে রাজার পোশাক পরে একুশে ফ্রেব্রুয়ারি, বিজয় দিবস এবং ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের দিনসহ রাষ্ট্রীয় বিশেষ অনুষ্ঠানে হাজির হতেন। আর মনে করিয়ে দিতেন বাংলার শেষ নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে।

রাজা দেশমাতৃকার জন্য ৮ নম্বর সেক্টরে আবু ওসমান চৌধুরীর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। কিন্তু, মৃত্যুর আগেও সেই স্বীকৃতিটুকু তার ভাগ্যে জুটল না। আলাউদ্দিন খাঁন বাঁশি বাজানো শিখেছেন বিখ্যাত বংশীবাদক আব্দুর রহমানের কাছে। তিনি লিভার, ডায়াবেটিস সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী ছিলেন। কেউ তার খোঁজ-খবর পর্যন্ত নেয়নি বলে পরিবারের অভিযোগ। তার মৃত্যুতে গভীর শোক এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ক্রিকেটপ্রেমী অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৮ ২:১২ অপরাহ্ণ