স্পোর্টস ডেস্ক:
ম্যাচ ফিক্সিংয়ে যুক্ত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত বছর সেপ্টেম্বরে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটার খালিদ লতিফ। পরবর্তীতে এর বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন ৩২ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার। কিন্তু বিচারপতি ফাখের মোহাম্মদ খোখারের আদালত তার আগের শাস্তি বহাল রেখেছেন। ফলে নিষিদ্ধই থেকে যাচ্ছেন এ ক্রিকেটার। এর সঙ্গে দশ লাখ রুপি জরিমানাও গুনতে হবে তাকে।
এ রায়ের পর এক বিবৃতিতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) আইন বিষয়ক উপদেষ্টা তাফাজ্জুল রিজভী বলেছেন, ‘খালেদ লতিফের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। কোন ক্রিকেটারের শাস্তিতেই খুশি নয় পিসিবি। কিন্তু সবাইকেই আইন মানতে হবে। দুর্নীতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। এবং এই দৃষ্টান্ত থেকে অন্য ক্রিকেটাররা সেটা শিখবে।’
এর আগে গতবছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) ইসলামাবাদ ইউনাইটেড ও পেশোয়ার জালমির মধ্যকার খেলায় স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার সন্দেহে অভিযুক্ত হন লতিফ। মোট ছয়টি ধারায় লতিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল। সেই অভিযোগের পর পিএসএল থেকেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল তাকে। ক্রিকেট থেকে হয়েছিলেন সাময়িক নিষিদ্ধ। পরে দীর্ঘ তদন্ত শেষে সেপ্টেম্বরে পাকিস্তান ক্রিকেটের অ্যান্টি করাপশন ট্রাইব্যুনাল লতিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে। সঙ্গে দশ লাখ রুপি জরিমানাও করা হয়।
পাকিস্তানের হয়ে ৫টি ওয়ানডে ও ১৩টি টি-টুয়েন্টি খেলেছেন খালিদ লতিফ। ৫ ওয়ানডেতে ২৯.৪০ গড়ে ১৪৭ রান লতিফের, ফিফটি ১টি। ১৩টি টি-টুয়েন্টিতে ২১.৫৪ গড়ে করেছেন ২৩৭ রান। ২০০৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক লতিফের। টি-টুয়েন্টিতে অভিষেক ওই বছর একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। তবে ওয়ানডে ক্যারিয়ারটা লতিফের দীর্ঘ হয়নি। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলা ওয়ানডেই শেষ ওয়ানডে হয়ে আছে তার। দেশের জার্সিতে সর্বশেষ টি-টুয়েন্টিটি খেলেছেন গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি