নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধান অনুযায়ী সহায়ক সরকার বলে কোনো সরকার গঠন করার বিধান নেই। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী সংসদে তার জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য তানভীর ইমামের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি জন্ম নিয়েছে মার্শাল ল’ জারি করে সংবিধান লংঘন করার মাধ্যমে অবৈধ পথে। তাই অবৈধ দাবি করাটা তাদের অভ্যাস।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের আমলে ভোটার বিহীন গণভোট (হ্যাঁ/না ভোট) করেছিল বিএনপি এবং সামরিক বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে কোনো নিয়মনীতি অনুসরণ না করে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে সরিয়ে জিয়াউর রহমান নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে এবং সরকার গঠন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে পরবর্তীতে তার ওই কর্মকাণ্ড অবৈধ ঘোষিত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে সরকার গঠন করার পর মাগুরা ও ঢাকার উপ-নির্বাচনে নজিরবিহীন কারচুপি করেছিল এবং ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটার বিহীন নির্বাচন করে অবৈধ সরকার গঠন করে বিএনপি। গণআন্দোলনের সম্মুখীন হয়ে দেড় মাসের মধ্যে তাদের পতন ঘটে।
তিনি বলেন, ওই সময়ে বিএনপি বিএনপি নির্বাচনী ব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছিল। ২০০৬ সালে বাংলাদেশের সংবিধান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্পষ্ট রূপরেখা থাকা সত্ত্বেও তাদের পছন্দসই ব্যক্তিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার চেষ্টা করে। নির্বাচনের নামে প্রহসন করার উদ্দেশ্য থাকায় দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা হয় এবং একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুই বছর ক্ষমতায় থাকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, বিএনপি কোনো দিনই গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতার পক্ষে ছিল না। আর এজন্যই বর্তমানে তারা অসাংবিধানিকভাবে সহায়ক সরকারের দাবি করে আসছে যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালন করবে এবং সরকারের পরিসর ছোট করা হবে। সরকার নির্বাচনকালীন সময়ে শুধু রুটিন কার্যক্রম পরিচালনা করবে, কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে না।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর