নিজস্ব প্রতিবেদক:
এবার আইসিসির ‘বাজে’ রেটিং পেল দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়াম। সদ্য সমাপ্ত ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার তৃতীয় ও শেষ টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল এ স্টেডিয়ামে। টেস্ট চলাকালীনই ব্যাটসম্যানদের মৃত্যুকূপে পরিণত হওয়া ওয়ান্ডারার্সের পিচ ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিল। এর আগে বক্সিং ডের টেস্টে ‘ড্রপ ইন পিচ’ এর জন্য আইসিসি’র ‘বাজে’ রেটিং পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে কোন পিচকে ’বাজে’ রেটিং দেয়ার ঘটনা খুবই বিরল।
দক্ষিণ আফ্রিকার পিচ বরাবরই বোলারদের স্বর্গভূমি। কিন্তু ওয়ান্ডারার্সের পিচ রীতিমতো ভয়ঙ্কর আচরণ করছিল। ম্যাচের তৃতীয় দিন জসপ্রিত বুমরাহর একটি বল গিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার ডিন এলগারের হেলমেটে আঘাত করে। এরপর নির্ধারিত সময়ের আগেই খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হন আম্পায়াররা। পরদিন অবশ্য যথারীতি খেলা শুরু হয়। টেস্টটি ৬৩ রানে জিতে নেয় ভারত। কিন্তু উইকেট নিয়ে সমালোচনা চলতে থাকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার মাইকেল হোল্ডিংতো একে ভয়ঙ্কর পিচ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। সিরিজের তৃতীয় টেস্টে আইসিসির ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট ওয়ান্ডারার্সকে ‘বাজে’ রেটিং দেন।
এর ফলে জোহানেসবার্গের স্টেডিয়ামটির ভাগ্যে ৩টি ‘ডিমেরিট পয়েন্ট’ যুক্ত হলো। অবশ্য এর জন্য কোনরকম শাস্তির মুখে পড়তে হবে না গ্রাউন্ডটিকে। তবে এটি ‘রেড জোন’ হিসেবে বিবেচিত হবে। আইসিসি’র নিয়ম অনুযায়ী ওয়ান্ডারার্স যদি আগামী ৫ বছরের মধ্যে আর ২টি ‘ডিমেরিট পয়েন্ট’ পায়, তবে এক বছরের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়বে। তবে ‘ডিমেরিট পয়েন্ট’ এর নোটিশ পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে এর বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা (সিএসএ)।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ