নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী তিন বছরে বাংলাদেশকে ৫০ কোটি ডলার অর্থাৎ প্রায় চার হাজার কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দেবে কোরিয়া। দেশটির সহযোগিতা সংস্থা ইকনোমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ডের (ইডিসিএফ) মাধ্যমে এই সহায়তা দেবে কোরিয়া সরকার। সহজ শর্তের এই ঋণের জন্য আজ একটি কাঠামোগত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের ইআরডি সম্মেলন কক্ষে আজ এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আযম এবং রিপাবলিক অব কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এহেন সেয়ং ডো।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চলতি ২০১৮ সাল থেকে আগামী ২০২০ সালের মধ্যে এই ঋণ সহায়তা দেবে কোরিয়া। সহায়তার পরিমান আগের তিন বছরের তুলনায় বেড়েছে। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দেশটি সহায়তা দিয়েছিল ৩৫ কোটি ডলার। কোরিয়ার নতুন সহায়তা প্রধানত কর্ণফুলী নদীতে রেল ব্রিজ এবং রাস্তা নির্মাণ এবং ১৬০টি উপজেলায় আইসিটি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় করা হবে। তবে এরপরও আরো বেশ কয়েকটি প্রকল্প নির্ধারিত রয়েছে। প্রয়োজনে সেগুলোতেও কিছু অর্থ ব্যয় করা হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর শেষে কাজী শফিকুল আযম বলেন, কোরিয়া বাংলাদেশের বিশ্বস্থ ও নির্ভরশীল বন্ধু। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে দ্রুত উন্নত দেশে পরিণত হয়েছে কোরিয়া। এটি আমাদের জন্য উদাহরণ। আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি সাত শতাংশের উপরে অবস্থান করছে। এটি যথেষ্ট নয়। এই হার আরো বাড়াতে হবে। এজন্য বিদেশী বিনিয়োগ এবং বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এহেন সেয়ং ডো বলেন, ১৯৯৫ সালে কোরিয়া বিশ্বব্যাংকের তৈরি করা স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে এসেছে। পরবর্তীতে বড় কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি করেছে। এক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কোরিয়া এ ঋণ সহায়তা অবকাঠামো উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

