২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৫:৩০

ধর্ষণে বাধা দেয়ায় রোকসানাকে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে স্কুলছাত্রী রোকসানা ওরফে আফসানাকে হত্যার ঘটনা আসামি রায়হান কবির সোহাগকে (২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে তাকে নবীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। রায়হান বন্দর থানার নবীগঞ্জ এলাকার কবির হোসেন মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া। তিনি নীট কনসার্ন গার্মেন্টসে কাজ করতেন। নিহত রোকসানা রায়হানের দ্বিতীয় স্ত্রী পাখীর বান্ধবী।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরফুদ্দিন জানান, লাশ উদ্ধারের পর ২৭ জানুয়ারি মেয়ের আশরাফুল ইসলাম বাবা হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি (অপারেশন) নজরুল ইসলাম, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুন উল আবেদ ও রাসেল আহমেদকে দিয়ে এ ঘটনায় একটি কমিটি করে দেয়া হয়। কমিটি তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

তিনি জানান, আসামি ইতোমধ্যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্বীকার করেছে। তিনি জানিয়েছেন তার প্রথম স্ত্রী তামান্না সন্তানসহ কুমিল্লায় থাকে। দ্বিতীয় স্ত্রী পাখী বন্দরে থাকলেও তার সঙ্গে ঝগড়া হওয়ায় বাড়ি ছেড়ে ২১ জানুয়ারি চলে যায়। ২২ জানুয়ারি পাখীর বান্ধবী রোকসানাকে নিয়ে সারাদিন ঘুরাফেরা করে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেন তিনি। আবারো ২৩ তারিখ তাকে ঘুরার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে এনে বন্দরে তার ভাড়াবাড়িতে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়।

ধর্ষণের সময় রোকসানা বাধা দিলে ও চিৎকারের চেষ্টা করলে তাকে গলায় পাড়া দিয়ে মেঝের সঙ্গে চেপে ধরলে শ্বাসবন্ধ হয়ে তিনি মারা যান। পরে মৃত্যু নিশ্চিত হলে হাত-পা বেঁধে ও মুখে স্কচটেপ দিয়ে লাশ বস্তায় ভরে সিএনজিতে করে ২৪ জানুয়ারি কাইকারটেক ব্রিজের নিচে ফেলে চলে যায় রায়হান।

শুক্রবার হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বস্তাবন্দি অবস্থায় লাশ সোনারগাঁ উপজেলার কাইকারটেক এলাকা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। রোকসানা (১০) সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল স্কুলের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী। সে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল আরামবাগ এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল ইসলামের মেয়ে।

এর আগে বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন স্কুল ছাত্রী আফসানার বাবা মো. আশরাফুল ইসলাম। সেখানে গত ২৩ জানুয়ারি সকালে বাসা থেকে স্কুলের উদ্দেশ্যে বের হয়ে রোকসানা আর বাসায় ফিরেনি বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সাত্তার জানান, আসামি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তাকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতে পাঠানো হচ্ছে।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :জানুয়ারি ২৯, ২০১৮ ৪:০০ অপরাহ্ণ