নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩ জানুয়ারি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালনের পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ধর্মঘট পরবর্তী বিক্ষোভ সমাবেশে কর্মসূচি ঘোষণা করেন জোটের সমন্বয়ক ইমরান হাবিব রুমন।
৩১ জানুয়ারি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দাবিপক্ষ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেবে জোট। জোটের সমন্বয়ক বলেন, সারাদেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জোটের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেছে। এখন থেকে কোথাও আঘাত করা হলে জোটের কেন্দ্রীয় নেতারা সেখান থেকে প্রতিরোধ করবে।
ঢাবির তদন্ত কমিটি নিয়ে তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির ১১ জন সদস্যের মধ্যে ৮ জন নিপীড়কদের পক্ষ নিয়ে শিক্ষক সমিতির মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন। সেখানে পাঁচজন বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তদন্ত কমিটি পর্যবেক্ষণ করবো। পরে আমরা নিজেরাই গণতদন্ত করে সেদিন কি ঘটেছিল জাতির সামনে তুলে ধরবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জিলানী শুভ, সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি নাইমা খালেদ মনিকা প্রমুখ। ছাত্র জোটের দাবিগুলো হলো- ২৩ জানুয়ারি আন্দোলনরত নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিচার, ১৫ জানুয়ারি শিক্ষার্থী নির্যাতনে যুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা, ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়া ও আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার প্রশাসনকে বহন করা।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ