স্পোর্টস ডেস্ক:
আইপিএল তাহলে প্রাপ্তবয়স্ক হচ্ছে? একটা সময় ছিল, আইপিএল মানেই ফাস্ট বোলার নিয়ে দলগুলোর টানাটানি। উদীয়মান ফাস্ট বোলার মানেই টানাহেঁচড়া, ফলে অঙ্কটা এমনই অবিশ্বাস্য পর্যায়ে চলে যেত যে পরে সেটা আর কখনোই উশুল হতো না। ইশান্ত শর্মা, কেমার রোচ, ওয়েইন পারনেল কিংবা হালের টাইমাল মিলস। প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি কেউই। এ থেকেই শিক্ষা নিয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দলগুলো?
প্রশ্নটা রাখতেই হচ্ছে। আইপিএলের অবিক্রীত খেলোয়াড়দের দিকে তাকিয়ে দেখুন না। গতবারই ১২ কোটিতে কেনা মিলসকে এবার কেউ ১ কোটিতেও নিতে চাইল না। নিয়মিত ঘণ্টায় ১৪৫–১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারা লকি ফার্গুসন কিংবা অ্যাডাম মিলনেরও একই দশা। এ তো গেল বিদেশি বোলার। ভারতেরই পেসার ইশান্ত শর্মা কিংবা মোহাম্মদ শামিও দল পাননি এবার! টেস্টকে বিদায় বলে আইপিএল ক্যারিয়ার লম্বা করা লাসিথ মালিঙ্গাও একই পথের যাত্রী। জস হ্যাজলউড, মরনে মরকেল কিংবা ভারনন ফিল্যান্ডারের তো কোনো সুযোগই নেই!
ভাগ্যিস, কাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন অ্যান্ড্রু টাই। এ কারণেই তাঁর চেয়ে বহুগুণ ভালো বোলার বিক্রি হননি, কিন্তু টাইকে ৭ কোটি ২০ লাখ রুপিতে নিয়ে নিয়েছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের প্রতি আইপিএলের দলগুলোর দুর্বলতা অবশ্য সর্বজনবিদিত।
অবশ্য অস্ট্রেলিয়ান হয়েও জেমস ফকনার ও ক্যামেরন হোয়াইটের কোনো লাভ হয়নি। এ নিয়ে হাহুতাশ করার কোনো সুযোগ নেই তাদের। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস কিংবা এউইন মরগানের মতো আইপিএল বিশেষজ্ঞদেরই এবার জায়গা হয়নি। গতবার দুই সেঞ্চুরি করা হাশিম আমলাকেই কেউ কেনেনি এবার! কোরি অ্যান্ডারসন কিংবা অ্যালেক্স হেলসের মতো ঝড় তুলতে পারা ব্যাটসম্যানদের দিকেও সুদৃষ্টি ছিল না কারও। জো রুট, মার্টিন গাপটিল, লেন্ডল সিমন্স কিংবা স্যামুয়েল বদ্রিদের মতো অতি পরিচিত নামগুলোও এবার অনুপস্থিত থাকবে আইপিএলে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি