অনলাইন ডেস্ক:
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের যে অভিযোগ উঠেছে তা ভ্রান্ত ও মিথ্যা বলে দাবি বার্মিজ সেনাবাহিনীর।
এসব অভিযোগের বিরুদ্ধে বার্মিজ সেনাবাহিনীর পরিচালিত তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর গুরুতর নির্যাতনের যে অভিযোগ উঠেছিল তার সবই হয় মিথ্যা ও ভ্রান্ত।
গত বছর রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তাদের অনেকেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হাতে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেন।
মিয়ানমার থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জোনাহ ফিশার জানান, জাতিসংঘ বাংলাদেশে পালিয়ে আসা শত শত রোহিঙ্গা নাগরিকের বক্তব্য শোনার পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গত ফেব্রুয়ারি মাসে এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করে।
মিয়ানমারের সেনাদের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নারীদের ব্যাপকহারে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার পর জাতিসংঘের কর্মকর্তারা একে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেন।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর তদন্তকারী দল বাংলাদেশে যায়নি। কিন্তু তারা বলছে, প্রায় তিন হাজার গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘের করা ধর্ষণ ও হত্যার সব ধরনের অভিযোগ ছিল অসত্য। সেই সঙ্গে তারা এও উল্লেখ করেন, কেবলমাত্র দুটো ঘটনার ক্ষেত্রে সৈন্যরা অসদাচরণ করেছে।
তবে সেই সময় রাখাইন রাজ্যের আগুনে পুড়ে যাওয়া গ্রাম ও মানুষের মৃতদেহের যে ভয়াল ছবি এবং নারীদের বয়ানে যে চিত্র উঠে এসেছে, তার প্রেক্ষিতে এই তদন্ত দলের পর্যবেক্ষণ মেলানো বেশ কঠিন। ঘটনার বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য জাতিসংঘের স্বাধীন তদন্ত দল পাঠানোর প্রচেষ্টাও মিয়ানমারের নেত্রী অং সাং সূচির বাধার কারণে আটকে গেছে বলে মনে করা হয়।
দৈনিক দেশজনতা/এমএম