নিজস্ব প্রতিবেদক:
বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা বহুমুখী সেতুর দ্বিতীয় স্প্যান (বি৭) বসানো হয়েছে। রোববার সকালে দ্বিতীয় দিনের প্রচেষ্টায় ৩৮ ও ৩৯ নং পিলারের ওপর এটি বসানো সম্ভব হয়। প্রথম স্প্যান বসানোর চার মাসের মাথায় বসানো হলো দ্বিতীয় স্প্যান। এর ফলে পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য হলো ৩০০ মিটার। এরআগে গতকাল শনিবার দিনভর শরীয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টে স্প্যানটি বসানোর চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু, নাব্য সংকট, আলোক স্বল্পতা ও সার্ভে করতে প্রকৌশলীদের সমস্যা হওয়ায় তা বিকেলে স্থগিত করা হয়।
সে সময় ৩৮ ও ৩৯ নং পিলার থেকে ৫০০ মিটার দূরে রাখা হয় ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি। পদ্মা সেতুর প্রকৌশলীরা জানান, রোববার সকাল থেকেই সেতুর ৩৫ নং পিলার এলাকা থেকে ক্রেনে করে স্প্যানটি ৩৮ ও ৩৯ নং পিলার এলাকায় আনা হয়। ৩৮ নং পিলারের সঙ্গে ৭বি স্প্যানটিকে স্থায়ী ওয়েল্ডিং করে লোড বহনের জন্য লিফটিং ফ্রেম তৈরি করা হচ্ছে। রাত ১০টা নাগাদ স্প্যান স্থাপনের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হবে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের দায়িত্বশীল এক প্রকৌশলী বলেন, ‘পদ্মা সেতু এখন বাস্তবতা। সরকার সফলভাবে প্রথম স্প্যানটি বসানোর পর সোমবার সকালে দ্বিতীয় স্প্যানটিও বসাতে সক্ষম হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এই স্প্যানটি ৩৮ এবং ৩৯ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়েছে। এভাবে ৬.১৫ কিলোমিটার সেতু ৪১টি স্প্যানে শেষ হবে।’
এই প্রকৌশলী আরো বলেন, ‘গতকাল শনিবার পদ্মা নদীর নাব্য সংকটের কারণে দ্বিতীয় স্প্যান বসানোর কাজ স্থগিত রাখা হয়েছিল। তবে আজ সফলভাবে বসানো হয়েছে।’ ২০১৫ সালে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরুর পর গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম স্প্যান বসানো হয়। বহুল প্রতীক্ষিত এই সেতুটির মাধ্যমে রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর সরাসরি যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থাপিত হবে।
প্রথমে সেতুটি বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অর্থায়ন বন্ধ করার পর বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে সেতুটি করছে। জানা গেছে, সেতুর জাজিরা প্রান্তে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর প্রথম স্প্যানটি বসানো হয়। মোট ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর অবকাঠামো।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ