নিজস্ব প্রতিবেদক:
চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে এবার কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত কয়েক হাজার কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেছেন। শনিবার সকাল ১০টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার এসোসিয়েশনের ব্যানারে তারা এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন। এর আগে থেকেই চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে সেখানে আমরণ অনশন করছে শিক্ষকদের দুটি গ্রুপ।
এদিকে, রাস্তার ওপর অতিরিক্ত মানুষ অবস্থান করায় প্রেসক্লাব এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যশোরের চৌগাছা থানার কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত সিএইচসিপি নান্নু মিয়া বলেন, সরকার কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রমকে বেগবান করার জন্য জনশক্তি হিসেবে ১৪ হাজার কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার নিয়োগ দেয় ২০১১ সালের অক্টোবর। পরবর্তীতে তিন বছর মেয়াদী প্রকল্প ২০২২ সালের জুন মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
মেহেরপুরের মুজিবনগর কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত সিএইচসিপি উল্লিখিত সংগঠনের সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, ‘আমাদের এখানে ১৪ হাজার কর্মী, তার মধ্যে সাড়ে ৪ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমাদের চাকরি জাতীয়করণ করা হবে কি না জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয়করণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান। এ ছাড়া সরকার ২০১৩ সাল থেকে চাকরি জাতীয়করণের চিঠি দিয়ে আসছে আমাদেরকে। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও এখনও তা করা হয়নি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে রাজপথে নেমেছি।’
শনিবার দুপুর ১২টায় সরেজমিনে দেখা যায়, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়করণের দাবিতে দুই গ্রুপের শিক্ষকদের চলমান কর্মসূচির সামনে নতুন করে আন্দোলনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন সিএইচসিপিরা। অবস্থান কর্মসূচিতে প্রায় দুই-তিন হাজারের অধিক মানুষের জমায়েত ঘটেছে। ফলে প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি বন্ধ হয়ে গেছে প্রেসক্লাবের যাতায়াতের রাস্তা।
বাংলাদেশ কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার এসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা কামাল হোসাইন সরকার বলেন, ‘আমরা ১৪ হাজার কর্মী অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছি। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে দাবি না মানলে পহেলা ফেব্রুয়ারি আমরণ অনশনে যাব।’
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ