নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রথম স্প্যান বসানোর ১১৯ দিনের মাথায় আজ শনিবার দ্বিতীয় স্প্যান বসছে পদ্মা সেতুতে। শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা প্রান্তের ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিলারের ওপর এই সুপার স্ট্রাকচার বসানো হবে। এর মধ্য দিয়ে নিজের রূপ পেতে আরেকধাপ এগিয়ে যাবে পদ্মা সেতু। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। এমন ৪১টি স্প্যান জোড়া দিয়েই সেতুটি তৈরি হবে।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের মধ্যে পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যান বসানো হয়। এর প্রায় চার মাস পর আরেকটি স্টিলের অবকাঠামো (স্প্যান) বসতে যাচ্ছে। দুপুরের দিকে ১৫০ মিটার দীর্ঘ ও তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি বসানো হবে বলে পদ্মাসেতু প্রকল্পের একাধিক প্রকৌশলী জানিয়েছেন। স্প্যানটি নিয়ে গত শনিবার সকাল ৯টার দিকে জাজিরা প্রান্তের দিকে রওনা দেয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভাসমান ক্রেন। গত সোমবার রাতে সেতুর ৩৫নং পিলার এলাকায় তিন হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ক্রেনে স্প্যানটি আনা হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, তিন হাজার ৬০০ কিলোজুল ধারণক্ষমতার তিয়ান ই ক্রেন ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যর স্প্যান নিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জাজিরা প্রান্তে পৌঁছবে। স্প্যানটির ওজন তিন হাজার ১৪০ টন। তবে পিলারে বসানোর পর এতে আরো যন্ত্রপাতি লাগানো হবে। তখন এর ওজন আরো বাড়বে। তাই শেষ মুহূর্তের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে প্রকৌশলীরা। পদ্মাসেতু প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী (মূল সেতু) হুমায়ুন কবীর বলেন, গত ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার সেভেন বি স্প্যান নিয়ে ক্রেনটি জাজিরা প্রান্তে রওনা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনিবার্য কারণে তা স্থগিত করা হয়। পরে গত শনিবার স্প্যান নিয়ে জাজিরা প্রান্তের দিকে রওনা দেয় ক্রেনটি।
পদ্মাসেতুর প্রকৌশলীরা জানান, স্প্যান ওঠানোর জন্য দুপুরকে বেছে নিয়েছেন কন্ট্রাকটররা। সবকিছু ঠিক থাকলে দুপুরের দিকে স্প্যান বসানোর প্রস্তুতি শুরু হবে। প্রথম স্প্যানটি পিলারের উপর বসে গেলেও দ্বিতীয় স্প্যানটি বসাতে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এসব সমস্যার বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না প্রকৌশলীরা। তাই তারিখ নির্ধারণ করেও পরিবর্তন করা হয়েছে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম স্প্যানটি জাজিরা প্রান্তের ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়। এরপর বিভিন্ন সমস্যার কারণে আর কোনো স্প্যান বসানো সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয় স্প্যানটি বসানো হলে সেতুর ৩০০ মিটার দৃশ্যমান হবে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে ৪২টি খুঁটির ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। সেতুর মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি