২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ২:২৯

শিগগির মুক্তি পাচ্ছেন সৌদি প্রিন্স আল ওয়ালিদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

সৌদি প্রিন্স ও দেশটির অন্যতম ধনকুবের আল ওয়ালিদ বিন তালালকে কয়েক দিনের মধ্যে মুক্তি দেওয়া হবে। শনিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। ওয়ালিদ বলেন, তিনি আশা করছেন, তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ হবে এবং কয়েক দিনের মধ্যে তিনি মুক্তি পাবেন। গত নভেম্বরে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান দেশে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু করেন। এ সময় অন্তত ১১ জন সৌদি প্রিন্সসহ দুই শতাধিক মন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে আল ওয়ালিদ বিন তালাল অন্যতম। তারা এখন রাজধানী রিয়াদের রিটজ কার্লটন হোটেলে বন্দি আছেন।

সেখান থেকেই রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলেন ওয়ালিদ। গ্রেফতার হওয়ার পর এই প্রথম গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারলেন তিনি। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ওই হোটেলটি চালুর কথা রয়েছে। তার আগেই হয়তো অধিকাংশ বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলেছে, মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সৌদি আরবে দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার হওয়াদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে রয়েছেন এমবিসি টেলিভিশনের প্রধান ওয়ালিদ আল ইব্রাহিম, রয়্যাল কোর্টের প্রধান খালিদ আল তুয়াইজিরি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাদের কাছ থেকে বিশাল অঙ্কের অর্থ নেওয়া হয়েছে। যদিও কী পরিমাণ অর্থ লেনদেন হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি। আর যাদের সঙ্গে অর্থের লেনদেন ও আলোচনা হয়নি তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হবে। এর আগে নভেম্বরের শেষের দিকে ছাড়া পান যুবরাজ মিতেব বিন আবদুল্লাহ। তাকে এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ দিতে হয়েছিল বলে খবর বের হয়। ওয়ালিদ আল ইব্রাহিমকে ছেড়ে দিতে তার টেলিভিশনের শেয়ার চাওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি সৌদি আরবের অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সৌদ আল-মোজেব জানান, দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও রাষ্ট্রীয় অর্থ তছরুপের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে সম্প্রতি সৌদি আরবের এক সিনিয়র কর্মকর্তার (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বরাত দিয়ে মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার করা ব্যক্তিদের কাছ থেকে দেশটির সরকার ১০০০ কোটি ডলার আদায় করবে বলে প্রত্যাশা করছে। তবে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান দুর্নীতিবিরোধী নাম দিয়ে এই অভিযান শুরু করলেও সমালোচকরা বলছেন, এর মাধ্যমে বিন সালমান তার ক্ষমতা পাকাপোক্ত করছেন।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি

প্রকাশ :জানুয়ারি ২৭, ২০১৮ ১১:২০ পূর্বাহ্ণ