নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সব দিক থেকে বাংলাদেশের সক্ষমতা বেড়েছে। একটা সময় আমরা বাজেট প্রণয়নে বিদেশি দাতা গোষ্ঠীর ওপর নির্ভরশীল হলেও এখন আর সেই অবস্থা নেই। এখন বাংলাদেশ নিজেই বাজেট প্রণয়ন করতে সক্ষম। বৃহস্পতিবার সকালে নিজ কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ‘ভূমি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ উন্নয়নে প্রস্তাবিত পাইলট প্রকল্পের রূপরেখা উপস্থাপন’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশের অচল নৌরুটগুলো চালুর ওপর তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌরুটগুলো যত চালু ও কার্যকর করতে পারবো, তত সস্তায় পণ্য সরবরাহ করা যাবে। নদীপথগুলো সংরক্ষণে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের নদীগুলোর প্রবাহ নিশ্চিতে ক্যাপিটাল ড্রেজিং ও মেনটেইন্যান্স ড্রেজিং দুটিই করতে হবে।
কোনো কোনো এলাকায় নদীর ভয়াবহ ভাঙনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা নদীকে ‘কীর্তিনাশা’ বলার পেছনের গল্প বলেন। তিনি বলেন, রাজবাড়ীর এক রাজা পদ্মা নদীর তীরে তার প্রাসাদ নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। পরপর সাতবার প্রাসাদ নির্মাণ করলেও তা নদীগর্ভে চলে যায়। পরে তিনি এই নদীকে ‘কীর্তিনাশা’ মন্তব্য করে তিনি চলে যান অন্য কোথাও।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে নদী ড্রেজিংয়ে নিজের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ড্রেজিংয়ের ব্যাপারে লক্ষ্য করেছি, একটা জায়গা ড্রেজিং করে অন্য জায়গায় মাটি ফেলে রাখা হয়। এতে ড্রেজিংয়ে সুফল আসে না। এজন্য তিনি নদী খননের পর মাটি যেন আবার নদীতে না পড়ে সে ব্যবস্থার দিকে জোর দেয়ার তাগিদ দেন। নদী ড্রেজিংয়ের সময় দুই পাশে পর্যাপ্ত জায়গা রাখার পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন এতে নদী অতিরিক্ত পানি ধারণ করতে পারবে এবং যখন পানি থাকবে না তখন সেখানে কৃষকরা চাষবাষ করতে পারবে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ