২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১:২৩

সিআরভিএসে যুক্ত হচ্ছে শিক্ষাগত যোগ্যতা : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জন্ম, মৃত্যু, মৃত্যুর কারণ, বিবাহ, তালাক ও দত্তক- এ ছয়টি বিষয় আন্তর্জাতিকভাবে সিআরভিএস স্বীকৃত। বাংলাদেশে এই ছয়টি বিষয়ের পাশাপাশি জনগণের স্থানান্তর ও শিক্ষাবিষয়ক তথ্য সিআরভিএসে যুক্ত হচ্ছে বলে জনিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

তিনি বলেন, সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস (সিআরভিএস) ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জন আরো বেশি সহজ হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, জন্ম ও মৃত্যুর নিবন্ধন শতভাগ অর্জন করা গেলে আদম শুমারিতে আরও ভালো ফল পাওয়া যাবে। কর্মসূচি বাস্তবায়নাধীন এলাকায় জন্ম নিবন্ধন শতকরা ৯৫ শতাংশ এবং মৃত্যু নিবন্ধন শতকরা ৮৫ শতাংশ উন্নীত হয়েছে। এর সফল বাস্তবায়ন হলে আদম শুমারিতে আমাদের উল্লেখযোগ্য সাফল্য আসবে।

অনুষ্ঠানে সিআরভিএসে দুটি বিষয় যুক্ত হওয়ায় একটি সমন্বিত সেবা প্রদান ব্যবস্থাপনা অর্থাৎ ইন্টিগ্রেটেড সার্ভিস ডেলিভারি প্লাটফর্ম গড়ে তোলার ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী। আর এই দুটি বিষয় যুক্ত হওয়ায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জন আরো বেশি সহজ হবে বলে আশা করছেন মুহিত।

রাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিককেই চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ও তথ্যাদি সংঘটিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধিত করা এবং তার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পরিসংখ্যান তৈরি করার নিয়মিত প্রশাসনিক প্রক্রিয়াই হলো সিআরভিএস।

বর্তমানে ঢাকার বাইরে ছয়টি বিভাগে ছয়টি উপজেলা, গাজীপুরের পাঁচটি উপজেলা ও ময়মনসিংহের দুটি উপজেলায় পাইলটিং-এর মাধ্যমে এই কর্মসূচির সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে।

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন এলাকায় স্বাস্থ্য সহকারী, পরিবার কল্যাণ সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২৯৪ জনকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন চালু হয় ২০০৬ সালে। কিন্তু এক যুগেও দেশের সব নাগরিককে নিবন্ধনের আওতায় আনা যায়নি। স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন শাখায় বিনামূল্যে নিবন্ধন কার্যক্রম চালু আছে।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :জানুয়ারি ২৪, ২০১৮ ১১:২৫ পূর্বাহ্ণ