২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ১২:০২

এই গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে..

দৈনিক দেশজনতা ডেস্ক:

গত কয়েকদিনের তাপমাত্রা লাগাম ছাড়া। বেড়েই চলেছে ক্রমাগত। গরমে অস্বস্তি চরমে। গরম যেভাবে বাড়ছে তাতে হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়ছে। মূলত গরমের কারণেই হিট স্ট্রোক হয়। পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া, রোদে বেশিক্ষণ অবস্থান করা আর একটি জায়গায় গরমের মাঝে বসে থাকলেও আক্রান্ত হতে পরেন হিটস্ট্রোকে।

হিট স্ট্রোক কি?
গরমের সময়ের একটি মারাত্মক স্বাস্থ্যগত সমস্যার নাম হিট স্ট্রোক। গরম আবহাওয়ায় শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলে তাকে হিট স্ট্রোক বলে। স্বাভাবিক অবস্থায় রক্ত দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। কোনো কারণে শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে ত্বকের রক্তনালি প্রসারিত হয় এবং অতিরিক্ত তাপ পরিবেশে ছড়িয়ে দেয়। প্রয়োজনে ঘামের মাধ্যমেও শরীরের তাপ কমে যায়। কিন্তু প্রচণ্ড গরম ও আর্দ্র পরিবেশে বেশি সময় অবস্থান বা পরিশ্রম করলে তাপ নিয়ন্ত্রণ আর সম্ভব হয় না। এতে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যায় এবং হিট স্ট্রোক দেখা দেয়।
শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে মূলত এই সমস্যাটি হয়। মূলত ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেলে এই হিট স্ট্রোক হয়। যারা এই গরমে কায়িক শ্রম বেশি করেন যেমন রিক্সা চালক, কৃষক কিংবা শ্রমিক তাদের এই হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। প্রচণ্ড গরমেও যে কারো হিট স্ট্রোক হতে পারে। অতিরিক্ত গরম আর তার উপর আঁটসাঁট করে পরা পোশাক আপনার হিট স্ট্রোকের অন্যতম কারণ।
হিট স্ট্রোকের লক্ষণ
আপনি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে যাচ্ছেন কি না তা বুঝতে পারবেন কিছু লক্ষণ দেখে। হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আগে আপনার প্রচুর পানি পিপাসা পাবে, কথা বলতে কষ্ট হবে। হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসবে। আপনি চারিদিক অন্ধকার দেখতে শুরু করবেন। সাথে বমিভাব, মাথাব্যাথা, ঝিমঝিম করা ইত্যাদি লক্ষণগুলো চোখে পরবে। তার সাথে আপনার ঘাম বন্ধ হয়ে যাবে। ত্বক শুষ্ক ও লালচে হয়ে যাবে, নিঃশ্বাস দ্রুত নিতে শুরু করবেন, নাড়ির স্পন্দন ক্ষীণ ও দ্রুত গতির হবে, রক্তচাপ কমে যাবে, খিঁচুনি, মাথা ঝিমঝিম করা, অস্বাভাবিক আচরণ, হ্যালুসিনেশন, অসংলগ্নতা লক্ষণ চোখে পড়বে। পাশাপাশি যুক্ত হতে পারে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া।
প্রতিকারের উপায়
হালকা, ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। কাপড় সাদা বা হালকা রঙের পোশাক হলে সবচেয়ে ভালো হয়। এই ক্ষেত্রে সুতি কাপড়ের প্রাধান্য বেশি। যথাসম্ভব ঘরের ভেতরে বা ছায়াযুক্ত স্থানে থাকুন।
বাইরে যেতে হলে মাথার জন্য চওড়া কিনারাযুক্ত টুপি, ক্যাপ বা সঙ্গে ছাতা ব্যবহার করুন। বাইরে যারা কাজকর্মে ব্যস্ত থাকেন তারা মাথায় ছাতা বা মাথা ঢাকার জন্য কাপড়জাতীয় কিছু ব্যবহার করতে পারেন।
প্রচুর পানি ও অন্যান্য তরল যেমন স্যালাইন, শরবত পান করুন। চা ও কফি যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। বাইরের খাবার যেমন বার্গার, স্যান্ডউইচ, ঠান্ডা গোলা, পথের পাশের আইসক্রিম এড়িয়ে চলুন। সঙ্গে পানির বোতল আর স্যালাইন রাখুন।
দৈনিক দেশজনতা/এমএইচ
প্রকাশ :মে ২৩, ২০১৭ ১২:৫৯ অপরাহ্ণ