নিজস্ব প্রতিবেদক:
টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রুপাকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য প্রদানের মধ্যে দিয়ে এ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের পর্ব শেষ হলো। মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। পরে আদালতের বিচার আগামী ২৮ জানুয়ারি আসামিদের পরীক্ষার জন্য দিন ধার্য করেন।
এ নিয়ে ১ম থেকে ৮ম ধাপে রূপার ভাইসহ মোট ২৭ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, রূপা হত্যা মামলায় আদালত কর্তৃক মঙ্গলবার দিন ধার্য ছিল। সকালেই এ হত্যা মামলার সকল আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য প্রধান করেন। এ সময় আদালতের বিচারক এ হত্যা মামলা সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত করেন এবং আগামী ২৮ জানুয়ারি আসামিদের পরীক্ষার জন্য দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপাকে চলন্ত বাসে ধর্ষণ করে পরিবহন শ্রমিকরা। বাসেই তাকে হত্যার পর মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে রূপার মরদেহ ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই অজ্ঞাত পরিচয় নারী হিসেবে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে রূপার মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ময়মনসিংহ-বগুড়া সড়কের ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীর এবং চালক হাবিবুর ও সুপারভাইজার সফর আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা প্রত্যেকেই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ