নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী জানিয়েছেন, তিনি নগরীর সেবা করতে চান। তিনিই নগরবাসীর নেতা। সেখানে এখতিয়ারবহির্ভূত কারো কথা আইভী মেনে নেবেন না। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি একথা জানান। নারায়ণগঞ্জে হকার উচ্ছেদ নিয়ে স্থানীয় এমপি শামীম ওসমান সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা অসুস্থ হয়ে আইভী এই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
চিকিৎসা শেষে ফিরে যাওয়ার আগে আইভি বলেন, ‘আমি নারায়ণগঞ্জবাসীর সেবা করতে চাই। মেয়র হিসেবে আমি সকলের নেতা (লিডার)। আই অ্যাম এ লিডার, আই অ্যাম এ ফাইটার।’ তিনি বলেন, ‘আমি ভালো আছি। ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে আজ বাড়ি যাচ্ছি। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রতি, যারা আমাকে সশস্ত্র হামলা থেকে নিরস্ত্রভাবে রক্ষা করেছেন। সত্যের জয়, নৈতিকতার জয়কে কেউ হারাতে পারে না, নারায়ণগঞ্জবাসী প্রমাণ করেছে। আমাদের স্পিডকে কেউ পেছাতে পারবে না।’ আইভী বলেন, ‘আমি হকারদের জন্য চারতলা মার্কেট করছি, সেখানে হকাররা যাবে। ফুটপাতে জনগণ হাঁটবে, এটা তাদের অধিকার।’ তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে কারো রাজনৈতিক বা পারিবারিক বিরোধ নেই। যেটা আছে, সেটি আদর্শগত, নীতিগত। সেখানেও আমি নমনীয়।’
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ২৭ দিন ধরে হকার উচ্ছেদ নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে গত ১৫ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় সায়াম প্লাজার সামনে অবস্থান নেওয়া হকারদের কর্মসূচিতে হংহতি জানান স্থানীয় আওয়ামী লীগের এমপি শামীম ওসমান। ওইসময় হকারদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে নারায়ণগঞ্জ ডিসি, এসপি ও ব্যবসায়ী সংগঠন চেম্বারকে পরের দিন বিকেল পর্যন্ত সময় দেন তিনি।
এই আল্টিমেটামের নির্ধারিত সময় পরে গত ১৬ জানুয়ারি হকাররা চাষাঢ়ায় অবস্থান নেন। খবর পেয়ে মেয়র আইভী তার লোকজন নিয়ে চাষাঢ়ার অদূরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের বিপরীতে সায়েম প্লাজার সামনে এসে অবস্থান নেন। এ সময় শামীম ওসমান সমর্থকরা হকারদের নিয়ে মেয়র আইভী ও তার লোকজনদের ধাওয়া করে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে মেয়র আইভী, সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন।
এর দু’দিন পর আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন আইভী। পরে তাকে নারায়ণগঞ্জ থেকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সিটি স্ক্যান করে তার ব্রেনে হ্যামারেজ ধরা পড়ে। চিকিৎসা শেষে আজ তিনি নারায়ণগঞ্জে ফিরে যাচ্ছেন।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ