নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ শহরের ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে থানায় লিখিত দেওয়া হয়েছে। এতে নয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও এক হাজারজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সিটি করপোরেশনের আইন বিষয়ক কর্মকর্তা জিএম এ সাত্তার বাদী হয়ে ওই অভিযোগটি দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, আইভীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার জন্যই গত ১৬ জানুয়ারি লাঠিসোটা, অস্ত্র নিয়ে হামলা করা হয়। উল্লেখ করা নয়জনের মধ্যে ঘটনার দিন অস্ত্র প্রদর্শনকারী নিয়াজুল ইসলাম খান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম রয়েছেন। বাকিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের দায়িত্বরত ওসি আবদুর রাজ্জাক জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এখনো মামলা রেকর্ড করা হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
নারায়ণগঞ্জ শহরের ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ নিয়ে গত ১৬ জানুয়ারি সংঘর্ষ হয় মেয়র আইভী ও সাংসদ শামীম ওসমানের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। এতে সিটি মেয়র আইভীসহ অন্তত অর্ধশত আহত হন। সেদিন মানবঢাল তৈরি করে আইভীকে রক্ষা করেন তার কর্মী-সমর্থকেরা। এ সময় আইভীর গায়ে ঢিল লাগে বলে অভিযোগ করা হয়। পরে আইভী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, এই ঘটনার জন্য শামীম ওসমান সরাসরি দায়ী।
ঘটনার দুদিন পর গত ১৮ জানুয়ারি বিকালে মেয়র আইভী সিটি ভবনে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওইদিন বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে তাকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এনে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাকে রাখা হয় নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ)। তার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট কার্ডিওলজিস্ট অধ্যাপক ড. বরেণ চক্রবর্তী, আবদুজ জাহেদসহ পাঁচ সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করা হয়।
দুই দিন পর্যবেক্ষণ শেষে গত ২০ জানুয়ারি রাত আটটার দিকে মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয় বলে জানান অধ্যাপক ড. বরেণ চক্রবর্তী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে মেয়র আইভী হাসপাতাল থেকে রিলিজ পাবেন বলে জানা গেছে। এর আগে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ