আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সিরিয়ার ভূখণ্ড দখলের পরিকল্পনা তুরস্কের নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কেন আফগান ও ইরাক থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করছে না সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। সোমবার রাজধানী আংকারায় একটি অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট এরদোগান এসব কথা বলেন।
এরদোগান বলেন, তুরস্ক সিরিয়ায় কোনো সন্ত্রাসী দেখতে চায় না। খুব তাড়াতাড়িই আফরিন অঞ্চলে চলমান অপারেশন শেষ হবে। অন্য কোনো দেশের ভূখণ্ড দখলের পরিকল্পনা তুরস্কের নেই। লক্ষ্যসমূহ পরিপূর্ণ হলেই চলমান অপারেশন শেষ হবে।
তিনি বলেন, চলমান অপারেশন অলিভ ব্রাঞ্চের লক্ষ্য কুর্দিস নয়, এই অঞ্চলের সন্ত্রাসীদের টার্গের করে এ অপারেশন চালানো হচ্ছে। এটা খুব স্পষ্ট, কুর্দি নাগরিকদের সাথে আমাদের কোনো সমস্যা নেই; এটি কুর্দিদের বিষয় নয়। এটি সিরিয়ার সন্ত্রাসীদের আস্থানা ধ্বংসের বিষয়।
প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, এ অপারেশনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো সিরিয়ার নাগরিকদের জীবন ও সম্পদ রক্ষা এবং এই অঞ্চলের ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষা করা করা এবং একই সঙ্গে তুরস্কের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি। এসময় তিনি অপারেশন দ্রুত শেষ করতে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের আহ্বানের কড়া সমালোচনা করেন।
ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে এরদোগান বলেন, আফগানিস্তানে কি আপনাদের সুনির্দিষ্ট কোনো সময় সীমা আছে? সেখানে আপনাদের অভিযান কখন শেষ হবে? আপনি ক্ষমতায় আসার আগেই ইরাকে আপনারা প্রবেশ করেছেন। এখনও সেখানে আপনারা অবস্থান করছেন। কখন শেষ হবে?
উল্লেখ্য, ১১ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী হামলার পর মার্কিন বাহিনী ২০০১ সালে আফগানিস্তানে প্রবেশ করে এবং আজও সেখানে অবস্থান করছে।
যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ্য করে এরদোগান আরও বলেন, সিরিয়ার আফরিনে আমাদের থাকার ইচ্ছে নেই। যখন কাজ শেষ হয় তখন আমরা চলে আসবো। আমরা জানি কিভাবে ফিরে যেতে হয়। এর জন্য কারো কাছ থেকে অনুমতি নেয়ারও দরকার নেই। এরদোগান আরও বলেন, যারা আফরিনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তুরস্কের সমালোচনা করছে, তারা সিরিয়ার ভবিষ্যত নিয়ে ও সিরিয়ার জনগণের সমস্যাগুলো নিয়ে চিন্তা করে না। সূত্র: আনাদুলু
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ