শিল্প ও বাণিজ্য ডেস্ক:
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, শিল্পখাতে বিদ্যমান করের হার উল্লেখযোগ্য হারে কমানোর বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে। আমরা ট্যাক্স এমন যায়গায় নিয়ে আসবো তা অবিশ্বাস্য। আগামী অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্যে কস্ট অব ডুইয়িং বিজনেস কমে আসবে।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনইসি সম্মেলন কক্ষে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আবুল কাসেম খানের নেতৃত্বে ডিসিসিআইর পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী এই কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয়মাসে এডিপি’র প্রায় ৩২ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। এসডিজি’র লক্ষ্য অর্জনে সরকার ও বেসরকারি খাতকে একযোগে কাজ করতে হবে। কারণ এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে প্রায় ১ দশমিক ৩১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তিনি মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়নে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ আরও বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা সম্প্রসারণে বিভিন্ন প্রকল্পে সরকারের সাথে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের বিষয়ে বলেন, দ্রুতই এ বন্দরের সক্ষমতা ও দক্ষতা উন্নয়নে সরকার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, গত বছর বাংলাদেশ হতে ১০ লাখ ৩০ হাজার ১৫০ জন জনবল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি হয়েছে এবং বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ বছরে প্রায় ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সাক্ষাতে ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন ও ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং মানবসম্পদের দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়সমূহকে গুরুত্বারোপের জন্য পরিকল্পনামন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
সাক্ষাৎকালে ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি রিয়াদ হোসেন, পরিচালক আন্দালিব হাসানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ