আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সম্প্রতি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান যে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু করেছেন তার মাধ্যমে এক হাজার কোটি ডলার আদায় হবে বলে প্রত্যাশা করছে দেশটি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সৌদি আরবের এক সিনিয়র কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ এ খবর দিয়েছে।
দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সৌদ আল মোজেবের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্নীতিবাজ সন্দেহে যাদের আটক করা হয়েছে তার মধ্যে প্রায় ৯০ জন সরকারের সঙ্গে মীমাংসায় রাজি হয়েছে এবং তাদের ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। আর এখনও অন্তত ৯৫ জন রাজধানী রিয়াদের রিটজ কার্লটন হোটেলে বন্দি আছেন। খবরে বলা হয়েছে, যারা সরকারের সঙ্গে চুক্তিতে রাজি হবে না তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। তবে আটক ৯৫ জনের মধ্যে পাঁচজনের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানানো হয়েছে। আর বাকিরা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। এর মধ্যে একটি বড় অংশ সরকারের সঙ্গে মীমাংসায় রাজি হবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, গত ৪ নভেম্বর সৌদি যুবরাজ দেশটিতে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু করেন। এরপর প্রায় সাড়ে তিনশ লোককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ১১ জন সৌদি রাজপুত, বেশ কিছু সিনিয়র কর্মকর্তা এবং বেশি কিছু ধনী ব্যক্তিকে আটক ও পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে সমালোচকরা বলছেন, সৌদি যুবরাজ নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতেই এমন অভিযান শুরু করেছেন। কারণ আটকের তালিকায় রয়েছেন রাজ পরিবারেরই অনেক সদস্য, যারা অনেক সম্পদশালী। তাছাড়া রাজ পরিবারের বেশ কিছু সদস্যকে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি