আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারের বাজেট বাড়ানো নিয়ে প্রস্তাবিত ওই বিল সিনেটে প্রয়োজনীয় ৬০ ভোট পায়নি। বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম হোয়াইট হাউজ ও কংগ্রেস একই দলে নিয়ন্ত্রণে থাকার পরও সরকারের বাজেট বাড়ানোর বিল অনুমোদন পেতে ব্যর্থ হলো। এজন্য ডেমক্রেটদের দায়ী করে হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হয়, “তারা তাদের বেপরোয়া দাবির নিচে বৈধ নাগরিকদের জিম্মি করে রেখেছে।”মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স আরও বলেন, “তারা রাজনীতিকে সব কিছুর উপরে রাখেছে। তারা জাতীয় নিরাপত্তা, সামরিক ব্যবস্থা, অরক্ষিত শিশু এবং দেশকে তার সব নাগরিকের সেবা করতে সক্ষম রাখার বিষয়গুলোকে অবহেলা করেছে।”
অন্যদিকে সিনেটে ডেমক্রেটিক নেতা চাক স্চুমার বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিলটি মেনে নিতে কংগ্রেসে তার দলকে ‘প্রভাবিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন’। আগামী মাস পর্যন্ত সরকারের বাজেট বাড়ানোর বিল পাসের শেষ সময় ছিল শুক্রবার মধ্যরাত। কিন্তু শেষ মুহূর্তেও বিলের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে রিপাবলিকান ও ডেমক্রেট সিনেটরদের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ থাকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিক সিনেটরদের নেতা মিচ ম্যাককনেল ভোটের সিদ্ধান্ত নেন। তবে কিভাবে ভোট গ্রহণ চলছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানায় বিবিসি।
বৃহস্পতিবার রাতে বিলটি হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে ২৩০-১৯৭ ভোট পাস হয়। কিন্তু সিনেটে সেটি ৫০-৪৯ ভোট পেয়েছে। পাঁচ জন রিপাবলিক সিনেটর বিলটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন বলে জানায় বিবিসি। যদিও পাঁচ ডেমক্রেট সিনেটর বিলে সমর্থন দিতে র্যাঙ্ক ভেঙ্গেছেন।
এর আগে ২০১৩ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে সিনেটরদের মতবিরোধে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের তহবিল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং ১৬ দিন পর্যন্ত ওই অচলাবস্থা ছিল। ওই সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অনেক কর্মী ছুটি নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। তহবিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন অনেক দপ্তর বন্ধ হয়ে যাবে। তবে জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ চলবে। যার মধ্যে জাতীয় নিরাপত্তা, ডাক, বিমান ওঠা-নামার কাজ, হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের সেবা, হাসপাতালে জরুরি বিভাগে সেবা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, কারাগার, কর বিভাগ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন অন্যতম। বন্ধ হয়ে যাবে জাতীয় উদ্যান এবং স্মৃতিস্তম্ভগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ কাজ; ওবামার আমলে যা নিয়ে জনরোষ দেখা দিয়েছিল।
সিনেটে ভোট শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইটে নিজের হতাশা প্রকাশ করে বলেছিলেন, “এটা আমাদের দক্ষিণের বিপদজনক সীমান্তের সামরিক, সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য একদমই ভালো কিছু মনে হচ্ছে না।”
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি