মাদারীপুর প্রতিনিধি:
তীব্র শীতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কাঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আলো গড়িয়ে অন্ধকার হলে ক্রমেই বাড়ে কুয়াশার তীব্রতা। রাত ঠিক ১০টার পরে, ঘন কুয়াশায় পদ্মা নদীর চারদিক অস্পষ্ট হয়ে উঠে। ফলে বাধ্য হয়ে মাঝ নদীতে নোঙর করতে হয় ফেরিসহ অন্যান্য নৌযানের। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েন নৌযানে থাকা যাত্রীরা। দেড় মাস যাবৎ এমনই চিত্র দেশের অন্যতম কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে।
নৌযান চালকরা এর জন্য দায়ী করছেন রুটের আলোর স্বল্পতাকে। আর পরিবহন চালকরা দেখছেন, ঘাটের অব্যবস্থাপনাকে। এদিকে কর্তৃপক্ষ অল্পদিনের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান হবে বলে জানিয়েছে। পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদীঘেঁষা জেলা মাদারীপুর। জেলার উত্তরে পদ্মা নদী ও পূর্বে আড়িয়াল খাঁ নদ অনেক কাছে হওয়ায় এখানে শীতের তীব্রতা প্রতি বছরই বেশি হয়। অন্যান্য বছর নভেম্বরের শেষে শীতের দাপট শুরু হলেও এবছর জানুয়ারির শুরুতে শীতের দাপট শুরু হয়েছে। চলতি বছরের শীতের প্রথম আঘাত এটি। এতে জনজীবন কিছুটা স্থবির হয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, তীব্র শীতে মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিও কষ্ট পাচ্ছে। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত চারদিক কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে। রাতে বৃষ্টির মত ঝিরঝির করে কুয়াশা ঝরছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। এ অবস্থায় বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। যারা রিকশা বা অন্য যানবাহন চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন, তারা ঘন কুয়াশার মধ্যে রাস্তা ঠিকমতো দেখতে না পেয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। নিয়মিত কাজ না করতে পেরে এসব মানুষ এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। শীতের কারণে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে শিশু শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, জেলার শীতার্ত মানুষের শীত নিবারণের জন্য ইতোমধ্যে ৫০ হাজার কম্বল চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে। এরইমধ্যে কিছু কম্বল পাওয়া গেছে। যা বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী কম্বল পাওয়া গেলে হয়তো কিছু মানুষকে শীতের কবল থেকে রক্ষা করা যাবে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি