নিজস্ব প্রতিবেদক:
নির্বাচন স্থগিত করার কারণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কার্যক্রমে কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নাই। কোনো ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, আমি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় সিটির কার্যক্রমে কোনো ধরনের স্থবিরতা তৈরি হওয়ার সুযোগ নেই। কার্যক্রম চলবে। সেখানে কোনো সমস্যা বা অক্ষমতা থাকলে সেক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতা করবো। বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
এক প্রশ্নের জবাবে ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, প্যানেল মেয়র আছেন তিনি কার্যক্রম চালাবেন। এটা আমাদের আইনে পরিষ্কার। কারণ প্যানেল মেয়র করাই হইছে নির্বাচিত প্রতিনিধির কাজ চালিয়ে নেয়ার জন্য। এখানে অচলাবস্থা সৃষ্টির কোনো সুযোগ নেই।
দুই একদিনের মধ্যে ইসির সঙ্গে বসার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কী কারণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভোট স্থগিত হল সেটা আমি বলতে পারবো না। তবে নির্বাচন কমিশন ভোট করার জন্য যদি আমাদের কাছে কোনো ধরনের সহযোগিতা চায় তাহালে আমরা করবো। সীমানা নির্ধারণসহ আরও বেশ কিছু কাজ নির্বাচনের জন্য করতে হয়। সেটা নির্বাচন কমিশন করছে কিনা সেটা আমি জানি না। তবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমাদের কোনো করণীয় থাকলে সেটা আমরা ইসিকে করবো।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের কাজ ছিল পদ শূন্য ঘোষণা করা। সেটা আমরা করেছি। ভোটার হালনাগাদ করা, সীমানা নির্ধারণ করা এসব ইসির কাজ। আইনগত ত্রুটি-বিচ্যুতি কী ছিল সেটা আমরা বলতে পারবো না। এটা বলতে পারবে ইসি। নির্বাচন করার জন্য কিছু কাজ করতে হয়। সেটা তারা করছে কিনা আমি জানি না। কী কারণে নির্বাচন স্থাগিত হল সেটাও আমি জানি না। তবে যে কারণে নির্বাচন স্থগিত করা হল সেটা দূরিভূত করার জন্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা কী সেটা জানতে পারলেই আমরা সেই সহযোগিতা ইসিকে দেবো। সুনির্দিষ্ট যদি কিছু করার থাকে সেটা আমরা করবো।
নারায়ণগঞ্জের শামীম-আইভীর দ্বন্দ্ব সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আপনারা এখন দুইজন বসে আছেন। যদি মারামারি করেন তাহলে আমি কী করতে পারি। তবে আমার ধারণা তাদের ব্যক্তিগত রেষারেষি থেকে এসব ঘটনা ঘটেছে।
হকার উচ্ছেদ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, যিনি হকার উচ্ছেদ করছে তিনি নির্বাচিত মেয়র। আবার যিনি বাধা দিচ্ছেন তিনিও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তবে জবরদখল করে কোনো কাজ করা ঠিক না। হকার কেন ফুটপাত দখল করবে। সেখানে মেয়র যদি উচ্ছেদ করতে যায় তাহলে তিনি তো আইনিভাবে ঠিক আছে। আবার হকাররা সেখানে ব্যবসা করছে তাদের পুনর্বাসন বা অন্য কিছু দরকার হয় সেটাও মানবিক বিষয়। তবে পুরো বিষয়টি সম্পর্কে আমি অকিবহাল নয়। আমার কাছে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। তাই এসব বিষয় আমি এখনই কিছু বলতে পারছি না।
তিনি বলেন, তবে বিষয়টি একেবারেই ব্যক্তিগত। আমরা অলরেডি রিপোর্ট করেছি। তবে আমাদের কাছে যদি কেউ বিচার নিয়ে আসেন তাহলে আমরা সেটা করতে পারি। তবে বিষয়টি দেখা হচ্ছে। এখানে সরকারের ভাবমূর্তির কোনো বিষয় নয়। এটা একেবারেই ব্যক্তিগত। এরসঙ্গে সরকারের ইমেজের কোনো বিষয় নেই।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ