আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
কাতারের রাজপরিবারের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য অভিযোগ করেছেন যে, তাকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে আটকে রাখা হয়েছে। শেখ আব্দুল্লাহ বিন আলী আল থানি নামের ওই ব্যক্তি সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরবের সাথে কাতারের কূটনৈতিক সংকটের মধ্যেও দেশটির সাথে আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি তাকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে আটক করার অভিযোগটি করেছেন ইউটিউবে এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে।
তিনি দাবি করেন যে, তিনি আবুধাবির যুবরাজ শেখ মোহাম্মেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান কর্তৃক আটক রয়েছেন এবং তার কিছু হলে তিনিই ‘পুরোপুরি দায়ী’ হবেন। তবে আরব আমিরাতের কর্মকর্তারা এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ আব্দুল্লাহ বিন আলী আল থানি কাতারের বর্তমান আমিরের আত্মীয়। ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি আরামকেদারায় বসে আছেন এবং ক্যামেরার দিকে সরাসরি তাকিয়ে কথা বলছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি এখন আবুধাবিতে শেখ মোহামেদের অতিথি হিসেবে। কিন্তু এটিকে ঠিক অতিথির মর্যাদা বলা যাচ্ছে না। বরং এটা আটকে রাখার মতো বিষয়। তারা আমাকে কোন দিকে যেতে মানা করেছে।’ শেখ আব্দুল্লাহ বিন আলী আল থানি বলেন, ‘আমি সবাইকে অবহিত করতে চাই যে, যদি আমার কোন কিছু ঘটে তাতে কাতারের কোন দোষ থাকবে না।’ তবে বিষয়টি নিয়ে একাধিক টুইট করেছেন আবুধাবির শিক্ষা বিভাগের প্রধান আলী রশিদ আল নুয়াইমি। যাতে বলা হয়, ‘শেখ আব্দুল্লাহ যেখানে খুশি সেখানে যেতে পারেন।’
মূলত সৌদি আরব ও তার মিত্ররা যখন কাতারকে একঘরে করার চেষ্টা করেছিল তখন থেকে শেখ আব্দুল্লাহ বিন আলী আল থানি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন মধ্যপ্রাচ্যে। তখনকার কূটনৈতিক সংকটের সময় মূলত তার চেষ্টাতেই কাতার থেকে হজ্ব যাত্রীরা সৌদি আরবে হজ পালনের সুযোগ পেয়েছিলেন এবার।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি