২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৬:৩৭

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হচ্ছে চারদিনব্যাপী প্রতীকী জাতিসংঘ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

তারুণ্য শক্তির উপযোগিতাকে গুরুত্ব প্রদান করে ‘বিশ্বশান্তির লক্ষ্যে নিয়োজিত যুবসমাজ’ এই প্রতিপাদ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শুরু হতে যাচ্ছে ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতীকী জাতিসংঘ সম্মেলন ২০১৮’। বর্ণিল এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদে এই সম্মেলন শুরু হবে। ২০১৫ সাল হতে প্রতিবছর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতীকী জাতিসংঘ সংস্থা আয়োজন করে আসছে আন্তার্জাতিক মানের এই প্রতীকী জাতিসংঘ সম্মেলন। এ ধারাবাহিকতাকে বজায় রেখে, বৃহস্পতিবার প্রতীকী জাতিসংঘ সম্মেলনের চতুর্থ পর্বের পর্দা উঠবে। চারদিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতামূলক আয়োজনে মালয়েশিয়া, কাতার, সিঙ্গাপুর, ভারত, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া  এবং বাংলাদেশের সর্বমোট ৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের  ৪০০ শিক্ষার্থী ও ২৯ জন বিচারক অংশগ্রহণ করবেন।

রোববার চবি সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতীকী জাতিসংঘ সম্মেলনের মহাসচিব ও সংস্থার সভাপতি আহসান হাবীব। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতীকী জাতিসংঘ সম্মেলনের চিফ অব স্টাফ মো. নাঈম উদ্দিন, হেড অব মিডিয়া রবিউল ইসলাম বাঁধন ও হেড অব রিসার্চ শাফকাত আজিজ। সংবাদ সম্মেলনে আয়োজক কমিটি জানান, এই জাতিসংঘ সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন চবি উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার, বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ এফ এম আওরঙ্গজেব, সংস্থাটির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আইয়ুব ইসলাম।

অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের মোট ১০টি কমিটিতে বিভক্ত করে প্রত্যেক কমিটির জন্য একটি করে মোট ১০ গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা নির্ধারণ করা হয়েছে। এজেন্ডাসমূহ যথাক্রমে জাতিগত ও লিঙ্গ বৈষম্যরোধ, সুশাসন নিশ্চিতকরণ ও দারিদ্র দূরীকরণ, আফ্রিকান সংকট নিরসন, উন্নয়নশীল দেশসমূহের জন্য টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ, উন্নয়নশীল দেশসমূহের প্রযুক্তিখাতে নারীদের অধিকমাত্রায় সম্পৃক্তকরণ, সামাজিক উন্নয়নে শরণার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ, আফ্রিকান যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলসমূহে সন্ত্রাসবাদ প্রতিহতকরণ, কৃষিক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো এবং শরণার্থী শিবিরগুলোতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা। প্রতিযোগীরা এসব বিষয়ের উপর বির্তক, সমালোচনা ও আলোচনার মাধ্যমে খসড়া প্রস্তাবনা প্রস্তুত করে ২১ জানুয়ারী সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করবেন।

আয়োজক কমিটি আরোও জানান, গতানুগতিক ধারায় পরিবর্তন এনে এবারের আয়োজনকে সম্পূর্ণ নতুন মাত্রা প্রদান করতে প্রতিযোগীদের জন্য ‘প্রিপারেশন টুল’ নামে একটি ট্যাব সংযুক্ত করা হয়েছে। যার মাধ্যমে একজন প্রতিযোগী  ‘এমএনইউ’ সংক্রান্ত সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারবেন এবং ট্যাবটিতে ‘মানগুর’ নামক একটি সার্বক্ষণিক হটলাইন চালু করা হয়েছে। যেখানে একজন প্রতিযোগী যেকোন বিষয়ে প্রশ্ন করে দক্ষ মানারদের নিকট থেকে সঠিক দিক নির্দেশনা  ও উত্তর জেনে নিতে পারবেন।

এছাড়াও প্রতিযোগীদের জন্য সেক্রেটারিয়েট থেকে অগ্রিম স্ট্যাডি গাইড প্রদান করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এ সকল সেবা দক্ষিণ এশীয় প্রতীকী জাতিসংঘ সম্মেলন সংস্কৃতিতে পূর্বে কখনো সংযুক্ত করা হয় নি। যা সিইউএমইউএন ১৮ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রথমবারের মত সংযুক্ত হতে যাচ্ছে এবং ইতোমধ্যেই এসব উদ্যোগ মডেল ইউএন অঙ্গনে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।এছাড়াও সম্মেলনের প্রথমদিন দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতীকী জাতিসংঘ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং ট্রাস্ট্রিবোর্ড চেয়ারম্যান জনাব শাহরিয়াজ মোত্তাকিন।

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সুস্থ ধারার বিনোদন প্রদান করতে ২০ জানুয়ারী সমাজবিজ্ঞান অনুষদে বিকাল ৫ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে দেশীয় সংস্কৃতি উপস্থাপনের পাশাপাশি রুচিশীলভাবে পরিবেশিত হবে বহুজাতিক সংস্কৃতি। জানান আয়োজক কমিটি।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি

প্রকাশ :জানুয়ারি ১৫, ২০১৮ ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ