২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৯:০০

নির্বাচনকে ঘিরে অর্থনীতি বাড়তি ঝুঁকিতে : সিপিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নির্বাচনকে ঘিরে অর্থনীতি বাড়তি ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এ ঝুঁকি মোকাবেলায় অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় রক্ষণশীল নীতিতে চলার পরামর্শ দিয়েছে করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ অর্থনীতি-২০১৭-১৮ অর্থবছর- প্রথম অন্তবর্তীকালীন পর্যালোচনা শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব মন্তব্য করেন সংস্থাটির গবেষকরা।

সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য বলেন, অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৭ সাল শুরু হলেও শেষের দিকে সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি। ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগ বাড়েনি। প্রবৃদ্ধি হলেও দারিদ্র্য বিমোচনের হার কমেছে। ফলে আয় ও সম্পদ বৈষম্য বেড়েছে। এছাড়া গত বছরের আর্থিক দুর্বলতা সূচক সম্পর্কে যেমন ব্যাংক দখল, অর্থপাচার, দারিদ্র ও সম্পদের বৈষম্য কমানো, গুণগত প্রবৃদ্ধির বিষয়ে সমালোচনা করে সিপিডি।

চলতি বছর সম্পর্কে তিনি বলেন, চলতি বছরের শেষের দিকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। আর তাই ২০১৮ সালের সব কর্মকান্ড নির্বাচনমুখী। আগের সংস্কার হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। চলতি বছর এমন ম্যাজিক্যাল কিছু ঘটবে না যাতে বড় ধরনের সংস্কার হবে। সংস্কার করার মত রাজনৈতিক পুঁজিও নাই। গত বছরের আর্থিক ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার সঙ্গে চলতি বছরের নির্বাচনী বাড়তি ঝঁকি যোগ হবে। এজন্য রক্ষণশীল অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা কার্যকর করতে হবে। ঋণ কমাতে হবে, টাকার মূল্যমান ঠিক রাখতে হবে, মূল্যস্ফীতি বিশেষ করে চালের দাম কমাতে হবে। নির্বাচনী বছরে বহুমুখী চাপ সামলাতে রাজনৈতি দুরদর্শিতা প্রয়োজন।

সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমদানির আড়ালে অর্থ পাচার হচ্ছে। বিশেষ করে পোশাক শিল্পের কাঁচামাল তুলা আমদানি ৭৫ শতাংশ বেড়েছে। উত্পাদনের তার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার হিসেবে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ৮ থেকে ৯ বিলিয়ন ডলার পাচার হচ্ছে। এর মধ্যে ৮০ ভাগই আমদানি-রপ্তানীতে মূল্যকারসাজির মাধ্যমে। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) খতিয়ে দেখা উচিত।

এদিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান প্রেক্ষাপট অনুযায়ী প্রতিদিন যদি ৩০০ জন ফেরত পাঠানো হয়, তাহলে সময় লাগবে কমপক্ষে ৭ বছর এবং এতোদিনে খরচ হবে কমপক্ষে ৪৪৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার। আর যদি প্রতিদিন ২০০ জন ফেরত পাঠানো হয়, তাহলে সময় লাগবে কমপক্ষে ১২ বছর। এতোদিনে খরচ হবে কমপক্ষে এক হাজার ৪৫ কোটি ৬০লাখ ডলার।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :জানুয়ারি ১৩, ২০১৮ ৮:১৪ অপরাহ্ণ