নিজস্ব প্রতিবেদক:
টঙ্গীর তুরাগ তীরে চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। গতকাল শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানে এই ইজতেমা শুরু হয়েছে। আগামীকাল রোববার হবে আখেরি মোনাজাত। প্রথম পর্বে দেশের ১৬টি জেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ইজতেমা ময়দানের ২৮টি খিত্তায় অবস্থান নিয়ে বয়ান শুনছেন। এখান থেকে তারা বিভিন্ন জেলায় দলে দলে ইসলামের দাওয়াত প্রচার করবেন।
ইজতেমা থেকে চিল্লা- দীর্ঘ এই সময়ে মুসল্লিরা পরিবারের সদস্যদের থেকে দূরে থাকেন। ফলে যোগাযোগের জন্য মোবাইল ফোনই হয়ে ওঠে একমাত্র মাধ্যম। বরাবরের মত ইজতেমা ময়দানের খিত্তাগুলোতে মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে মুসল্লিরা বেশ দুর্ভোগে পড়েছেন। তবে এই দুর্ভোগকে পুঁজি করে গড়ে উঠেছে রমরমা ব্যবসা। ইজতেমা ময়দানের উত্তর পাশে কামারপাড়া রোডে বেশ কয়েকটি দোকানে বাণিজ্যিকভাবে মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানে ২০ টাকা দিলে মোবাইল ফোন ফুলচার্জ করে দেওয়া হচ্ছে।
এমনই ব্যবসায়ী সবুজ ও লুৎফর বলেন, ‘এটিকে আমরা শুধু ব্যবসা হিসেব দেখি না। মুসল্লিদের খেদমত করারও দারুণ সুযোগ।’ তারা বলেন, ‘অনেক মুসল্লি মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার পর পাঁচ টাকা দেন। বিনামূল্যেও অনেকের ফোন চার্জ করে দিতে হয়।’ ব্যবসায়ীরা জানান, ভ্রাম্যমাণ দোকান হলেও চার্জার, বৈদ্যুতিক লাইনসহ দোকান চালু করতে হাজার দশেক টাকা খরচ হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কোনো মুসল্লি মোবাইল ফোন চার্জে দিতে গেলে তাকে একটি কার্ড দেওয়া হচ্ছে। সেখানে নির্দিষ্ট একটি কোড নম্বর লেখা রয়েছে, যা মোবাইলের সঙ্গে পেচিয়ে রাখা হচ্ছে। কার্ডটিতে দোকান মালিকের মোবাইল ফোন নম্বর লেখা আছে। মুসল্লিরা এস