নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় পোশাক কর্মী এক তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষিতা ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় প্রেমিক রাসেল মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। রাসেল বগুড়া জেলার সাড়িয়াকান্দি থানার কামালপুর গ্রামের আলা মিয়ার ছেলে।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের জিরানী এলাকায় সজ্ঞাহীন অবস্থায় ওই পোশাক কর্মীকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে পুলিশের সহযোগিতায় তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল আউয়াল।
ধর্ষিতা তরুণীর ভাড়া বাসা ভাদাইল এলাকায় গিয়ে জানা যায়, বাবা-মা ও ছোট এক বোনের সাথে একটি কক্ষে সে বসবাস করেন। তিনি স্থানীয় সোনিয়া স্যোয়েটার নামে একটি গার্মেন্টসে হেলপার পদে কাজ করেন।
ধর্ষিতার সহকর্মী মমতা আক্তার ও প্রতিবেশীরা জানান, গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকার রাসেল মিয়া নামে এক পোশাকশ্রমিকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মেয়েটির। ঘটনা জানাজানি হলে গত বৃহস্পতিবার একদল উশৃঙ্খল যুবক আক্রোশ থেকে রাসেলের দুলাভাই আল-আমিনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।
পরে ধর্ষিতা মেয়েটি শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে নিজ কর্মস্থলে বেতন উত্তোলনের কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। রাত ১০টায় গণধর্ষণের শিকার হওয়া তরুণীকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের জিরানী এলাকায় সজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
ধর্ষিতার প্রেমিক রাসেল মিয়ার দুলাভাই আল-আমিন জানান, সোনিয়ার সঙ্গে রাসেলের সম্পর্কের জের ধরে গত বৃহস্পতিবার রাতে তাকে লাঞ্ছিত করার পর শুক্রবার রাতেও মারধর করে ইমরান, তানভির, সৌরভ, সোহাগসহ প্রায় অজ্ঞাত ২৫ জন যুবক। এসময় জোরপূর্বক কাগজে তার ও শ্যালক রাসেল মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে এমন একটি মুচলেকা নেয় তারা।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত সোনিয়ার কথিত প্রেমিক রাসেলকে চন্দ্রা থেকে ও শ্রমিক নেতা তুহিন আহম্মেদকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার (বাবা- মান্নান) বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করেছে বলে জানা গেছে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ