নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা নদীতে ঘন কুয়াশায় লঞ্চের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে গেছে। ডুবে যাওয়া ট্রলারের চালকসহ ৮ জন যাত্রীদের উদ্ধার করতে পারলেও এখনো একজন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে। শুক্রবার ভোর বক্তাবলী খেয়াঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ ব্যক্তি ফতুল্লার উত্তর নরসিংপুর এলাকার মৃত বাছির মিয়ার ছেলে দুদু মিয়া (৫৫)। । সে কসাইয়ের কাজ করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ভোরে ঘন কুয়াশায় বুড়িগঙ্গা নদীর পূর্বপাড় হতে ৮/৯ জন যাত্রী নিয়ে বক্তাবলীর খেয়াঘাটের ট্রলারটি নদীর পশ্চিম পাড়ে রওনা হয়। ট্রলারটি নদীর মাঝ পথে যাওয়ার পর ঢাকাগামী একটি লঞ্চ ধাক্বা দিলে সাথে সাথে ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা যাত্রীরা হাউ মাউ করে চিৎকার করলে নদীর পূর্ব পাড়ে থাকা একটি ইটের ট্রলার দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নারীসহ ৮জন যাত্রীকে উদ্ধার করে। তবে এখনো দুদু মিয়া নামে একজন নিখোঁজ রয়েছে।
ট্রলার চালক ইদ্রিস আলী জানান, ভোরে ঘন কুয়াশার কারণে ঘাটের ট্রলারটি বেধে একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলাম। তখন কয়েকজন যাত্রী জোড় করে ট্রলারটি ছাড়তে বলে। কুয়াশার মধ্যে ট্রলার ছেড়ে যাবে না এ কথা বলার পরও হুমকি ধামকি দিয়ে ট্রলারটি ছাড়তে বাধ্য করে। আর ট্রলারটি ৮/৯ জন যাত্রী নিয়ে ছেড়ে নদীর মাঝ পথে যাওয়ার পর ঢাকাগামী একটি লঞ্চ লাইট না মেরে এবং কোন হর্ণ না বাজিয়ে ট্রলারের মাঝামাঝি এসে স্বজোড়ে ধাক্কা দেয়। সাথে সাথে ট্রলারটি ডুবে যায়।
তিনি আরও বলেন, ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার পর মৃত্যু নিশ্চিত মনে করে আল্লাহকে ডাকতে শুরু করলাম এবং হাউমাউ করে কান্নাকাটি করতে থাকি। হঠাৎ দেখি একটি ট্রলার নিয়ে কয়েকজন লোক এসে আমাদের উদ্ধার করে।
ফতুল্লার বিসিক ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আব্দুল হক জানান, ভোরে বক্তাবলী খেয়াঘাটে যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে যাওয়ার সংবাদ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে হাজির হই। ট্রলার ডুবে যাওয়ার পর ৮ জন যাত্রীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করতে পারলেও এখনো একজন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে। ডুবে যাওয়ার ট্রলারসহ নিখোঁজ যাত্রীকে উদ্ধার করতে ডুবুদল ঢাকা হতে এসে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ