কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামে জানুয়ারির প্রথম থেকে শুরু হওয়া শৈত্যপ্রবাহ এখনও অব্যাহত রয়েছে। এখানে তাপমাত্রা উঠানামা করলেও কোনোক্রমেই ঠান্ডা থামছে না। সকালে সূর্যের দেখা মিলছে না। কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক নজরুল ইসলাম মোল্লা জানান, শনিবার কুড়িগ্রামে র্সবনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখানে তাপমাত্রা কখনও বাড়ছে আবার কখনও কমছে বলেও জানান তিনি।
ঘন কুয়াশার সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা ও হিমেল হাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে ভারত সীমান্তঘেঁষা ও ধরলা, দুধকুমার, বহ্মপুত্র, তিস্তাবেষ্টিত কুড়িগ্রামের নয়টি উপজেলা- রৌমারী, রাজীবপুর, চিলমারী, উলিপুর, রাজারহাট, কুড়িগ্রাম সদর, ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারীর লাখো লাখো মানুষ। তীব্র ঠান্ডায় সূর্য না উঠা পর্যন্ত অনেকেই প্রয়োজন ব্যাতীত ঘর থেকে বের হচ্ছে না। মানুষের সঙ্গে দুর্ভোগ পড়েছে প্রাণিকুলও। এর মধ্যে গৃহপালিত গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ নিয়ে এসব পশুর মালিক বিপাকে পড়েছেন। গৃহপালিত পশুর মালিকরা পশুর গায়ে চট বা ছেঁড়া কাঁথা জড়িয়ে দিয়ে পশুগুলোকে ঠান্ডার কবল থেকে রক্ষার চেষ্টা করছেন।
পশুর মালিক নিজের গৃহপালিত পশুকে সঙ্গে নিয়ে খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করার এক বাস্তব দৃশ্যপটও দেখা গেছে ঠান্ডা বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামে। এখানে ঠান্ডা অব্যাহত থাকায় শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের ত্রাণ শাখা সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলায় সরকারি বরাদ্দ পাওয়া ৫৭ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। নতুন করে বরাদ্দ পাওয়া আরও ৫ হাজার কম্বল বিতরণ কার্যক্রম চলছে। চাহিদা অনুযায়ী আরও ৫০ হাজার কম্বল বরাদ্দের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি