নিজস্ব প্রতিবেদক:
সকল রেজিস্টার্ড স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। এখন পর্যন্ত অসুস্থ হয়েছেন ১০৬ জন। গুরুতর অসুস্থ ১০ জনের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সাতজন। তাদের ন্যায্য দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। কনকনে শীতে টানা আট দিন অবস্থান ধর্মঘটের পর গত মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছেন শিক্ষকরা। বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক সমিতির মহাসচিব কাজী মখলেছুর রহমান বলেন, চতুর্থ দিনের মতো আজ আমরা অনশন চালিয়ে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত ১০৬ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়েছেন। তবে আমাদের এই ন্যায্য দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত এই অনশন কর্মসূচি চলবে। তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা সরকারের কোনো পক্ষের কাছ থেকে কোনো ধরনের আশ্বাস পাইনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি কাউকে পাঠিয়ে আমাদের খোঁজ নিয়ে দেখেন আমরা কী কষ্টে আছি। বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, আমরা শিক্ষামন্ত্রীর কোনো কথায় আর আশ্বস্ত হতে পারছি না। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঘোষণা শুনতে চাই। অন্যথায় আমরা অনশন চালিয়ে যাবো।
আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, একই পরিপত্রে ১৯৯৪ সালে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণ করা হয় ৫০০ টাকা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি ৫ম শ্রেণির কার্যক্রম একই হলেও ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করে সরকার। এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি মাসে ২২ থেকে ৩০ হাজার টাকা বেতন হলেও ১ হাজার ৫১৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকরা সরকারের থেকে কোনো বেতন পান না।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ